চপল রায়, ভোলা : ভোলার তজুমদ্দিনে উপজেলা কমপ্লেক্সের পশ্চিম পাশের রাস্তার মাঝে পিলার স্থাপন করেছে উপজেলা প্রকৌশল অফিস। এতে এলাকার ২০টির অধিক পরিবারের একমাত্র চলাচলের পথ এমনভাবে সরু হয়ে যায় যেন এম্বুলেন্স কোনভাবেই প্রবেশ করতে না পারে। ভয়াবহ করোনাভাইরাস মহামারিতে রোগীবাহী এ্যম্বুলেন্স প্রবেশপথে পিলার নির্মাণ করায় আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পরেছেন ঐ এলাকার মানুষ। শুধু তা-ই নয় এমনভাবে পিলার স্থাপন করা হয়েছে তাতে এক অংশে হাঁটাচলাও কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে কদিন আগে উপজেলা প্রকৌশলী ওয়াহিদুজ্জামানকে জানালে তিনি রাস্তার মধ্যে অবস্থিত পিলারটির ঢালাই ছয়দিন বন্ধ রেখে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার পল্লব কুমার হাজরা বিষয় টি অবগত হয়ে ঠিকাদারের লোক মোঃ আনিসকে বুধবার সকাল আনুমানিক সাড়ে দশটায় সেই পিলার ঢালাই বন্ধ রাখতে বলেন এবং বিষয় টি নিজে দেখবেন বলে জানান। এর ঠিক পরপরই চারজন রাজমিস্ত্রী দিয়ে দ্রুত সেই পিলারটি দ্রুত ঢালাই করে ফেলে ঠিকাদারের লোকজন। এমন হঠকারী সিদ্ধান্তের ফলে পরিবার পরিজন নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে এখানকার বাসিন্দাদের।

কয়েক মাস আগে নবনির্মিত উপজেলা অডিটোরিয়ামের পশ্চিম পাশের বাউন্ডারি দেয়াল নির্মাণের ফলে চলাচলের পথ প্রথমবারের মতো সংকুচিত হয়ে যায়। এরপর কয়েকমাস পরে প্রয়োজন ছাড়াই ঐ প্রথম দেয়াল থেকে আট ইঞ্চি দূরত্বে সমান্তরাল ভাবে প্রায় ১২০ ফুট দ্বিতীয় দেয়াল নির্মাণের ফলে এম্বুলেন্স মোড় ঘুরিয়ে প্রবেশ দুঃসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাস্তার শেষ অংশের পিলারটি নির্মিত হওয়ায় এ্যম্বুলেন্স প্রবেশের পথ চিরতরে অবরুদ্ধ হয়ে যায়। এমতাবস্থায় বিকল্প না থাকায় মহামান্য হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন এখানকার বাসিন্দারা।

(সিআর/এসপি/জুলাই ০২, ২০২১)