অহিদুজ্জামান কাজল, মাদারীপুর : লকডাউনের দ্বিতীয় দিন শুক্রবারও কঠোরভাবে পালিত হচ্ছে বিধিনিষেধ। জরুরী সেবা ছাড়া বন্ধ রয়েছে সকল প্রকার বিপনী বিতান, দোকানপাট, স্বাস্থবিধি মেনে সীমিত আকারে দু‘একটি ছোট ছোট দোকান খোলা থাকলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়। জেলার সকল উপজেলার করোনা সংক্রমণের হটস্পট ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে ১৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব, আনসারসহ সব আইন শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর সমন্বয়ে ১৬টি মোবাইল কোর্ট একযোগে পরিচালিত হচ্ছে। যে সকল মানুষ স্বাস্থবিধি না মেনে অযৌক্তিক কারণে বাড়ির বাইরে বের হয়েছে, তাদেরকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে।

শুক্রবার দুপুর ২টা পর্যন্ত ১৬টি ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে ৩৯টি মামলার মাধ্যমে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে।

জেলা সদর ও সকল উপজেলা শহরের রাস্তার মোড়ে মোড়ে এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী অবস্থান নিয়েছে। মহাসড়ক, আঞ্চলিক সড়ক, সংযোগ সড়ক ও শহরের মধ্যে কোনো প্রকার যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়নি। তবে বেশকিছু রিকসা চলাচল করতে দেখা গেছে। সরকারী প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ঔষধের দোকান যথারীতি খোলা। হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে রোগীর চাপ নেই। যানবাহন বন্ধ থাকায় দূর-দূরান্তের রোগী আসতে পারছে না। তবে জরুরী রোগীবাহী গাড়ি ও এ্যাম্বুলেন্স চলাচল করছে।

এদিকে জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী এমপি বলেছেন, ‘করোনার সংক্রমন থেকে রক্ষা পেতে হলে সবাইকে লকডাউনের বিধিনিষেধ মেনে ঘরে থাকতে হবে। লকডাউন বাস্তবায়নে প্রশাসনকে কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কারো করোনা ভাইরাস শনাক্ত হলে, তা সংকোচ বা রোগ লুকিয়ে না রেখে বিশেষায়িত হাসপাতালে যাবেন। নিম্ম আয়ের মানুষদের জন্য খাবার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’

বৃহস্পতিবার বিকেলে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারের গৃহিত পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের কাছে মোবাইল ফোনে তিনি এসব কথা বলেন।

চীফ হুইপ আরো বলেন, ‘করোনা রোগীদের জন্য শিবচরে ২০ শয্যার বিশেষায়িত আইসোলেশন কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। হাসপাতালে একাধিক হাই ফ্লো নেজাল কেনোলো থেরাপি সিস্টেম, অক্সিজেন কনসেনট্রেটর মেশিন (অক্সিজেন জেনারেটর), পালস্ অক্সি মিটার, ইনফ্রাডার থার্মমিটার, অক্সিজেন সিলিন্ডার, ফ্রীজ, এসিসহ সকল সুযোগ সুবিধা রয়েছে। পদায়ন দেয়া হয়েছে ডাক্তার নার্স স্টাফ। এখানে আশ পাশের জেলার মানুষও চিকিৎসা নিতে পারবেন। কেউ অসুস্থ হলে রোগ গোপন বা সংকোচ না করে এখানে চিকিৎসা নিবেন। করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য চিকিৎসক, খাওয়াসহ সব ব্যবস্থা রয়েছে। কেউ খাবার কষ্ট পাবেন না। পর্যাপ্ত খাবার ও অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। লকডাউন কঠোরভাবে মেনে ঘরে অবস্থান করুন।’

(ওকে/এসপি/জুলাই ০২, ২০২১)