নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : সারা দেশের ন্যায় নারায়ণগঞ্জে ও চলছে ৭ দিনের কঠোর লকডাউন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছে কঠোর বিধিনিষেধ। শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে জেলা ম্যাজিস্টেট এর সাথে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও বিজিবি কঠোর তৎপর থাকার কারনে রাস্তায় প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া জনসাধারণকে অযথা বাহিরে বের হলেই সর্তক ও জরিমানা করা হচ্ছে। কিন্তু পাড়া-মহল্লা গুলোতে দেখা যায় ঠিক তার উল্টো চিত্র।

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৮ নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকার বাজার গুলোতে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় জনসাধারণের উপ্চে পরা ভীড়। বেশির ভাগ মানুষের মুখেই দেখা যায় নি মাস্ক। সব ধরনের দোকান বন্ধ থাকার কথা বলা হলেও বন্ধ ছিলনা কোনো দোকান। চায়ের দোকান গুলোতে জনসাধারণের প্রবেশ ছিল দেখার মতো। স্বাস্থ্য বিধিনিষেধ উপেক্ষা করেই চলাচল করতে দেখা যায় পাড়া-মহল্লার মানুষদেরকে। তাই তারা বলছে কঠোর লকডাউনে শহরের চিত্র এক রকম ও পাড়া-মহল্লার চিত্র আরেক রকম। শহরে সার্বক্ষনিক নজরদারিতে থাকার ৮নং ওয়ার্ডের লাকির বাজার, এনায়েতনগর, আইলপাড়া, তাঁতখানা মোরে কিছু কিছু দোকানের একটি সাটার ও অধিকাংশ দোকানই খোলা ছিল এবং বেচা-কেনা করতে ও দেখা যায়।

তাদেরকে একটি সাটার খোলা রেখে বেচা-কেনা করার কারন জিজ্ঞাসা করলে তারা বলে যেকোনো সময় পুলিশ ও ম্যাজিস্টেট আসতে পারে তাই একটি সাটার বন্ধ করেই ব্যবসা পরিচালনা করছি। তারা আরো বলেন, পুলিশ ও ম্যাজিস্টেট আসলে দোকান বন্ধ করে দোকানের ভিতরে থাকি ও তারা চলে গেলে আবার দোকান খুলি। এছাড়াও গার্মেন্টস কর্মীদের ও স্বাস্থ্য বিধিনিষেধ না মেনেই চলাচল করতে দেখা যায়।

এ বিষয়ে ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহুল আমীন মোলা জানায়, গত লকডাউনে আমার নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় গিয়ে আমি ও আমার ওয়ার্ডের সেচ্ছাসেবীকর্মীরা পাড়ায় পাড়ায় পর্যবেক্ষন করেছিলাম কিন্তু এইবার যা করার প্রশাসন করবে। তিনি আরো বলেন, আমরা পাড়ায় পাড়ায় পর্যবেক্ষন করলে এলাকাবাসীর তোপের মুখে পরতে হচ্ছে।

(এস/এসপি/জুলাই ০৪, ২০২১)