নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে কাউন্সিলর সম্ভাব্য প্রার্থীরা নানাভাবে প্রচারনা করেছে। এমনকি ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে একবার সুযোগ দেয়ার অনুরোধ করতেও দেখা যাচ্ছে নাসিকের বিভিন্ন ওর্য়াডে। এর সম্পন্ন উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে নাসিক ২৩ নং ওয়ার্ডের বন্দর এলাকায়।

বন্দরের ৯ টি ওয়ার্ডের মধ্যে প্রায় ২৩ নং ওয়ার্ড ছাড়া সকল ওয়ার্ডেই একাধিক প্রার্থীর নাম আসছে। নাসিক ২৩ নং ওর্য়াডে প্রায় ২৪ হাজার ভোটার। এই ওর্য়াডের কাউন্সিলর হিসেব জনগনের ভোটে নির্বাচিত সাইফুদ্দিন আহম্মেদ দুলাল প্রধান টানা দ্বিতীয় বারের মত দায়িত্ব পালন করছেন। নারায়ণগঞ্জ পৌর সভার সাবেক কমিশনার মরহুম আব্দুল বারেক মিয়ার ছেলে সাইফুদ্দিন আহম্মেদ দুলাল প্রধান। ক্ষমতাসীন দলের মহানগর সেচ্ছাসেবকলীগের সাধারন সম্পাদক ও কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন আহম্মেদ দুলাল প্রধান। সিটি কর্পোরেশনের ২০১১ সালের ৩০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ১ম বারের মত কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। জনগনের ভোটে নির্বাচিত হওয়ার পর তার দায়িত্ব পালনের ভূমিকায় দ্বিতীয় বার পুনরায় ভোট দিয়ে কাউন্সিলর নির্বাচিত করেন।

সরকারী দলের প্রার্থী হয়েও ২০১৬ সালের ২২ ডিসেম্বরের নির্বাচনে তাকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হয়েছে অনেক মহারতিদের সাথে। জনগনের ভালবাসা ও তার কর্মগুনে বিশাল মাপের রাজনৈতিক ও সামজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত পরিবারের প্রার্থীর সাথে। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সাবেক এমপি প্রয়াত জালাল হাজীর নাতি, ৩ বারের সাবেক সাংসদ এড. আবুল কালাম পুত্র ও বন্দর উপজেলার চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুলের ভাতিজা আবুল কাউসার আশা। আবার বন্দর উপজেলা পরিষদের প্রথম চেয়ারম্যান সামছুল করিমের আত্নীয় আবুল কাউসার আশা মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক।

দ্বিতীয় বারের মত কাউন্সিলর হওয়াকে ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখছেন সচেতন মহল। তাদের ভাষ্য নামের পরিচয় না কর্মগুনকে প্রাধান্য দেয় জনগন। দুলাল প্রধানের কর্মগুন/ দায়িত্ববোধের সু-ফল হিসেবে দ্বিতীয় বার কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। নাসিক ২৩ নং ওর্য়াডে প্রায় ২৪ হাজার ভোটার রয়েছে। বন্দর সল্পের চক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাজী সিরাজ উদ্দিন মেমোঃ উচ্চ বিদ্যালয়, নবীগঞ্জ গার্লস স্কুল, কদমরসুল ডিগ্রি কলেজ, একরামপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এ ৫ টি ভোট কেন্দ্র। কবরস্থান রোডের উত্তরাংশ, সল্পেরচক, সিদ্দিক নগর, একরামপুর ইস্পাহানি, সিএসডি গেইট, আরসিম, পৌরসভার মোড়, কলেজ মাঠ, কবিলের মোড়, বাগবাড়ি, নুরবাগ, পূর্বপাড়া, খাদেমপাড়ার একাংশ, রসুলবাগ এলাকা নিয়ে ২৩ নং ওর্য়াড।

টানা দ্বিতীয় বারের মত কাউন্সিলরের সফলতা ও ব্যার্থতার বিষয়ে কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন আহম্মেদ দুলাল প্রধান বলেন, ব্যাক্তিগতভাবে আমার সাধ্য থাকা পর্যন্ত জনগনের পাশে থাকতে চেষ্টা করি। এগুলো করে বলাও উচিত না। সরকারীভাবে উন্নয়ন যেগুলো হয়েছে তা ইতিহাসে বিরল। ওর্য়াডের প্রধান সড়ক বা ড্রেনের কাজ বাকি নেই বললেই চলে। এলাকার ভিতরে শাখা সড়ক / ড্রেনের অল্প কিছু কাজ বাকি আছে। তাও প্রায় শেষ হয়ে যাবে। এ পর্যন্ত প্রায় ১২শ' বয়স্কভাতা কার্ডসহ প্রতিবন্ধী, বিধবা কার্ডও সরকারীভাবে যা এসেছে তার সুসমাহিত বন্টন হয়েছে। রাস্তায় এলইডি লাইড, ১শ'ফুট রাস্তা, মহল্লা ভিত্তিক সংযোগ সড়ক সরজমিন ঘুরলে বুঝতে পারবেন বলে প্রতিবেদককে জানান।

সরকারী অর্থায়নের মেয়র ডা: সেলিনা হায়াত আইভীর উদ্যোগ ও পরিকল্পনা আর কাউন্সিলর হিসেবে আমার জনগনের চাহিদাগুলো পূরন করতে পেরেছি। তারপরও ওর্য়াডবাসীর কাছে তার বার্তা সফলতা আপনাদের আর ব্যার্থতা যদি থাকে তার দায়ভার আমার।

আসন্ন কাউন্সিলর নির্বাচনে সাইফুদ্দিন আহম্মেদ দুলাল প্রধানের বিকল্প তিনি নিজেই বলে জানান মহানগর সেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মাহবুবুর রহমান কমল।

(ও/এসপি/জুলাই ০৪, ২০২১)