নিউজ ডেস্ক : পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে- এমন আতঙ্কময় উড়ো খবর অনেকবার শুনেছে সারা বিশ্বের মানুষ। বিজ্ঞানী ও বিশ্লেষকরা নানা রকমের পৃথিবী ধ্বংসের তারিখ ঘোষণা করেছেন। তবে প্রকৃত ধ্বংসের চিত্র শুধুমাত্র সিনেমা ও কল্পনাতেই দেখা গেছে।

সম্প্রতি আবারো বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, আগামী ৮৬৭ বছরের মধ্যে উপগ্রহ 'অ্যাসটেরোয়েড ১৯৫০ ডিএ' পৃথিবীকে আক্রমণ করবে। তবে এখনো এই আক্রমণ ঠেকানোর উপায় বের করতে পারছেন না বিজ্ঞানীরা।

এমন পূর্বাভাস আগেও দিতে দেখা গেছে বিজ্ঞানীদের। জেনে নেওয়া যাক পৃথিবী ধ্বংসের কয়েকটি পূর্বাভাস।

১০০০ খ্রিস্টাব্দ
১০০০ খ্রিস্টাব্দে মনে করা হয়েছিলো পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে। তাই ৯৯৯ সাল থেকেই আসন্ন সংকট উত্তরণে মানুষরা প্রার্থনা করতে থাকেন। তখন মানুষ তাদের চাকরি ও ঘর ছেড়ে দিয়েছিলো বলেও জানা যায়।

তবে নতুন বছর আসার পর ভবিষ্যতবক্তারা বললেন, তেমন কিছুই হবে না। তারা যিশুখ্রিস্টের বয়স গণনায় ভুল করেছেন। পৃথিবী ধ্বংস হবে ১ হাজার ৩৩ সালে!

১৫২৪ সালের ফেব্রুয়ারি
বৃহস্পতি ও শনি গ্রহের মধ্যে অস্বাভাবিক কিছু দেখতে পান জ্যোতিষীরা। এরপর লন্ডনের জ্যোতিষীরা ঘোষণা দেন ব্যাপক বন্যা বয়ে যাবে পৃথিবীজুড়ে। যেমনটি ঘটেছিলো নুহ (আ:) এর সময়কালে। এ খবরে অনেকেই চেয়েছিলো হাজার ফুট উপরে আশ্রয়স্থল তৈরি করতে। তবে সেবারও তেমন কিছুই হয় নি।

জ্যোতিষীদের বিভিন্ন তারিখ
নানান গবেষণা করে পৃথিবী ধ্বংসের বিভিন্ন সময় ঘোষণা করেছিলেন জ্যোতিষীরাও। তবে সবসময় তারা ভুল প্রমাণিত হয়েছেন তারাও।
তবে অনেকেই দাবি করেন তারা ৯/১১ এর ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন।

১৯৮২ সালের শরৎকাল
১৯৮০ সালে এক টেলিভিশন ধর্মপ্রচারক তার জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘দ্যা ৭০০ ক্লাব’-এ বলেছিলেন আগামী দুই বছরের মধ্যে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে। তিনি গ্যারান্টি দিয়ে বলেছিলেন ১৯৮২ সালে পৃথিবীর বিচার শুরু হবে।

২০০০ সাল
বিভিন্ন নায়াসায়ার (নেতিবাচক বক্তা) পূর্বাভাস দিয়েছিলেন তাদের কম্পিউটারের ডিভাইসগুলো তিন শূন্যের সংখ্যা নিয়ে দ্বিধায় রয়েছে। কম্পিউটারগুলো বারবার তাদের তারিখ ১৯০০ সাল করছিলো।

যে ‍কারণে ২০০০ সালের সমস্যাগুলো শান্তিপূর্ণভাবেই এসেছিলো।

২০১১ সালের ২১ মে
মার্কিন যাজক হ্যারল্ড ক্যামপিং পূর্বাভাস দিয়েছিলেন ২০১১ সালের ২১ মে পৃথিবীর ইতি ঘটবে। যদিও এর আগে তিনি ১৯৯৪ সালের ৬ সেপ্টেম্বর পৃথিবীর শেষ দিন বলেছিলেন। অবশ্য পরে তিনি ঘোষণা দেন তিনি তারিখ গণনায় ভুল করেছিলেন।

৯২ বছর বয়সে ক্যাম্পপিং মারা যান। তিনি মারা যাওয়ার পর কিছু অনুসারী তার জিনিসপত্র কিনে নেয়। মূলত দীর্ঘদিন বেঁচে থাকার জন্য তারা এসব কিনে নেন।

২০১২ সালের ২১ ডিসেম্বর
প্রাচীন মায়ান সভ্যতারা ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন ২০১২ সালের ২১ ডিসেম্বর পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে।
বারণ মায়ানরা সবচেয়ে বড় ক্যালেন্ডার তৈরি করেছিলো। তাদের ক্যালেন্ডার খ্রিস্টপূর্ব ৩ হাজার ১১৪ থেকে শুরু হয়ে ২০১২ সালের ডিসেম্বরের ২১ তারিখে এসে শেষ হয়েছে। তাই ধারণা করা হয়েছিলো এদিনই পৃথিবীর শেষ দিন হবে।

২০১৮ থেকে ২০২৮
ড. এফ কেনটর বিশোর পূর্বাভাস দিয়েছেন পৃথিবী ধ্বংস হবে ২০১৮ থেকে ২০২৮ সালের মধ্যে।

বিশ্ব বাইবেল সংঘের এ প্রতিষ্ঠাতা বাইবেল গ্রন্থে বিষয়টি অন্য ইঙ্গিতে বোঝানো হয়েছে বলে জানান। তিনি বলেন, খুব শিগগিরই কোটি কোটি বছরের জন্য যিশু পৃথিবীর নেতৃত্ব দিতে আসছেন।

(ওএস/এটিআর/সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৪)