প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা উন্নত করা দরকার, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত কোভিড ১৯ নিউমোনিয়া রোগীর (মোট কোভিড ১৯ রোগীর ২০ শতাংশের) অবস্থা বেশ খারাপ। তাদের সুস্থতার জন্য মানসম্মত নিবিড় চিকিৎসার প্রয়োজন।

এসকল রোগীদের জরুরী ভিত্তিতে অনেক প্রাণরক্ষাকারী ঔষধ যোগ করার সিদ্ধান্ত নিতে হয়, অনেক পরীক্ষা করার সক্ষমতা থাকতে হয়। এ ব্যবস্থাগুলোর যৎসমান্য যা’ও রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগে এখনও আছে ‘তা রোগীর সংখ্যাধিক্যে খুবই নাজুক পরিস্থিতিতে নেমে এসেছে। করোনাভাইরাসের সংক্রামণের চক্র ভাঙতে উদ্যোগ নিতে হবে।
গ্রামীন জনগোষ্ঠীর কোভিড ১৯ হয় না একটি প্রচলিত ভুল ধারণা বিদ্যমান রয়েছে। সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ধারণাটি ভাঙা অতীব জরুরী। স্থানীয় সেচ্ছাসেবী সংগঠন ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ স্বাস্থবিধি ও লকডাউন মানে চলতে সকলকে উদ্ভুদ্ধ করতে পারে। যেমন ঘরে থাকা, ঘরের বাহিরে জরুরী প্রয়োজনে বের হলে মাস্ক পড়া, ১.৮ মিটার শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা, নিয়মিত বিরতিতে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া (হাত সেনেটাইজ করা), জনসমাগম এড়িয়ে চলা, বদ্ধ ঘরে সকলে মিলে দীর্ঘক্ষণ অবস্থান না করা।

গণটিকা করণেরও কোন বিকল্প নেই, টিকাও এসেছে। টিকা করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে এন্টিবডি তৈরীর মাধ্যমে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। তাই কোভিড ১৯ হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। তাই দ্রুততম সময়ের মধ্যে আশি শতাংশের (৮০%) টিকা করণের কাজটি সম্পন্ন করা প্রয়োজন।

এ কাজগুলো সঠিকভাবে করতে পারলে সংক্রামণের চক্র ভাঙবে, কোভিড ১৯ রোগী ও মৃত্যু (morbidity ও mortality) কমবে।

ডা. আহমদ পারভেজ জাবীন
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ
[email protected]