বরগুনা প্রতিনিধি : বরগুনার বামনা উপজেলার বুকাবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব দুলাল চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. জয়নাল আবেদীন খানের মূল জন্ম তারিখ ও মায়ের নাম অনলাইনে ধারণকৃত জন্মনিবন্ধন থেকে পরিবর্তন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ মর্মে গত ২ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের জন্ম মৃত্যু নিবন্ধন প্রকল্ল পরিচালক আ.ক.ম সাইফুল ইসলাম চৌধুরী স্থাসাব/জমৃনিপ্র/প্রপকা/তদন্ত-৯৫/২০১৪-৩৭৩ নং স্মারকে বরগুনা জেলা প্রশাসককে ওই সচিবের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ফৌজদারি মামলা রুজু করার অনুরোধ জানিয়ে একটি চিঠি দিয়েছেন।

জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন প্রকল্প পরিচালকের চিঠির সূত্রে জানাযায়, বামনা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মো. জয়নাল আবেদীন খান জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন প্রকল্প পরিচালকের দপ্তরে অভিযোগ করেন ২৯ মার্চ ২০০৮ সনে তার নামে যে জন্ম নিবন্ধন সনদ ইস্যু করা হয় তার নম্বর ১৯৫৬৬০৪১১৯৪৭০০০২৫৪ এই সনদে তার জন্ম তারিখ ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৬ এবং ওই সময়ে তাঁর অনুকুলে যে জাতীয় পরিচয় পত্র ইস্যু করা হয় তার নম্বর ১৫৯২০৩৯৮০৯৩৭০ এই পরিচয় পত্রেও তাঁর জন্ম তারিখ ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৬ সাল।

এ বিষয়ে জয়নাল আবেদীন খানের অভিযোগ পেয়ে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন প্রকল্প পরিচালকের দপ্তর থেকে সংশ্লিষ্ট ইউপির সচিব দুলাল চক্রবর্তীর কাছে টেলিফোনে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তোর দিনে পারেনি। পরে ইউপির উদ্যোক্তা মাছুদুর রহমানকে ওই দপ্তর থেকে ফোন করে জন্ম নিবন্ধনের ৪ নম্বর রেজিষ্টার খুলে পাঠ করতে বলেন এবং ওই মুক্তিযোদ্ধার জন্মনিবন্ধনের মূল আবেদন পত্রটি স্ক্যান করে ওই দপ্তরে পাঠাতে বলা হলে তিনি তা তার হাতের নাগালে নেই বলে জানান।

এদিকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ণ ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের জন্ম মৃত্যু নিবন্ধন প্রকল্ল পরিচালকের দপ্তর হতে অনলাইনে ধারনকৃত জন্ম তথ্যের ইতিহাস পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে জয়নাল আবেদীন খানের জন্ম নিবন্ধন তথ্য ৮জুন ও ১৭ জুন ২০১৪ তারিখে সংশোধন করা হয়েছে। ১৭ জুন ২০১৪ তারিখে সকাল ১০টা ৫৯ মিনিটের সময় মায়ের নাম হাসিনা বেগমের স্থলে ছুমিনা খাতুন এবং জন্ম সাল ১৯৫৬ স্থলে ১৯৬৫ করা হয়েছে এবং ১৯ জুন পুনরায় আবার সংশোধনের চেষ্টা করা হয়েছিল বলে প্রকল্প পরিচালকের চিঠি মোতাবেক জানাগেছে।

বুকাবুনিয়া ইউপির সচিব দুলাল চক্রবর্তী জন্ম নিবন্ধন সনদের প্রস্তুকারী হিসেবে ১৯ মার্চ ২০০৮ সালে ওই সনদটি সম্পন্ন করেন। এদিকে তিনি পুনরায় ১৭ জুন ২০১৪ তারিখে একই ব্যক্তির বয়স ও মায়ের নাম পরিবর্তন করেন। ফলে জন্ম মৃত্যু নিবন্ধন প্রকল্ল পরিচালক আ.ক.ম সাইফুল ইসলাম চৌধুরী বরগুনা জেলা প্রশাসককে জন্মমৃত্যু নিবন্ধন আইন ২০০৪ এর ২১ ধারা অনুযায়ী ফৌজদারী মামলা রুজু করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।

(এমএইচ/এটিআর/সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৪)