মানিক সরকার মানিক, রংপুর : একদিকে করোনা, লকডাউন অন্যদিকে লাগাতার বৃষ্টি। স্থবির হয়ে পড়েছে রংপুর বিভাগের জনজীবন। গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত তথাকথিত লগডাউন পেরিয়েছে ৭ দিন। রিকশার পাশাপাশি প্রাইভেট গাড়িসমূহ চলছে যথারীতি। চলছে ব্যবসায়ীদের খানিকটা দরজা খোলা আড্ডা এবং কেনাবেচাও। এসব বেচাকেনার মালামাল চলে যাচ্ছে ট্রাক কিংবা ছোট ছোট পিকআপ ভ্যানে করেও। যার দেখা মেলে নগরীর অলিগলির সড়কগুলোতে। সড়কে জন বরং যান চলাচলের অভাব নেই একটুও, তবে কম। আবার গুরুত্বপূর্ণ মোড়সহূহে চলছে দোকানদারি এবং উঠতি ছেলেপেলেদের আড্ডাও। প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই এসব মালামাল আসছে কোত্থেকে আর যাচ্ছেইবা কোথায় ? র‌্যাব পুলিশ সেনাবাহিনীসহ ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে অভিযানও চলছে যথারীতি। শতচেষ্টা করেও সাধারণ মানুষকে সচেতন করা যাচ্ছে না। তারাওবা করছে কী ? ফলে প্রতিদিনই বাড়ছে মৃত্যু এবং আক্রান্তের সংখ্যা। রংপুর করোনো ডেডিকেডেট, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং ডক্টরস হাসপাতাল ছাড়া অন্য ক্লিনিকগুলেতে আইসিইউ এবং অক্সিজেনের ব্যবস্থা থাকলেও তা এখন পরিপূর্ণ। অবস্থাটা এমন ‘ঠাঁই নাই ওরে ঠাই নাই’
দিনে দিনে বাড়ছেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা।

গত ২৪ ঘন্টায় রংপুর বিভাগে নতুন করে আরও ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে ঠাকুরগাঁওয়ে ৪জন, দিনাজপুওে ৩, রংপুরে ২, লালমণিরহাটে দুইজনসহ নীলফামারী, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামে ১জন করে। এ নিয়ে গত ছয়দিনে এ বিভাগে গত ৭দিনে প্রাণ হারালো ৮৭জন। বিভাগে শনাক্তের হার ৪১ দশমিক ৮০ বলে জানিয়েছেন রংপুর স্বাস্থ্য অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত্র পরিচালক আবু মো: জাকিরুল ইসলাম।

এ বিভাগে একই সময়ে নতুন করে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৭১জন। এর মধ্যে দিনাজপুওে ১১১, ঠাকুরগাওঁয়ে ১০৮, রংপুরে ৯২, গাইবান্ধায় ৬২, কুড়িগ্রামে ৫৯, নীলফামারীতে ৫২, পঞ্চগড়ে ৪৫ ও লালমণিরহাটে ৪২ জন। এয়াড়া গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়েছেন ৪০৪জন। স্বাস্থ্য পরিচালকের দফতর সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার পর্যন্ত বিভাগের ৮ জেলায় ১ হাজার ৩৬৬ জনের নমুনা পরীক্ষা পরীক্ষা হয়েছে। এতে ৫৭১ জন করোনায় সংক্রমিত হয়েছে। একই সময়ে বিভাগের হিলি ও বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আসা আরও ৪ জন দেশে ফিরেছেন।তারা এরা এখন কোথায় আছে কোথায় আছেন কেই জানেন না।

এদিকে করোনার মধ্যেও দিনমজুর এবং রিকশা চালকরা কাজে বের হলেও তাদেও সংখ্যা অনেকটাই কমে গেছে। কারণ কারণতো আছেই সাথে বৃষ্টি। ফলে অনেকেই ঘরবন্দী বন্দী এখন তাদেরও জীবন যাপন কাটছে মানবেতর জীবন।
অপরদিকে লাগাতার বৃষ্টির কারণে কৃষি বিগের সাথে কথা বলার চেষ্টা করেও তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি।

তবে বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে অধমন বীজতলার তেমন ক্ষতি হলেও অন্যান্য এষনও ফসলের তেমন ক্ষতি হয়নি। তবে এবার রংপুরের বিখ্যাত হারিভাঙ্গা আমের পর্যপ্ত ফলন হলেও আম নিয়ে বিপাকে পারেছেন উৎপাদনকারী এবং ফরিয়ারা। কারণ, আামের পরিমিত দাম পারছেন না। নগর জুড়ে আমের বাজার সৃষ্টি হলেও করোনা এবং বৃষ্টির কারণে ক্রেতা নেই। অন্যদিিেক ফরিয়াওরাও বেশি দামে আম কিনে পরিবহন অভাবে পাঠাতে না পেেেও বিপাকে পড়েছেন। সব কিছু মিলেই বিপর্যস্ত অবস্থা রংপুর অঞ্চলের জনজীবন।

(এম/এসপি/জুলাই ০৭, ২০২১)