সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : ভ্রাম্যমান আদালতে সাজাপ্রাপ্ত মাদকসেবীদের আধিক্যের কারণে সাতক্ষীরা জেলা কারাগারে স্থান সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে জেলা কারাগারে দেখা করতে যাওয়া বিভিন্ন কারাবন্দীদের স্বজনদের কাছ থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

সাতক্ষীরা জেলা কারাগার সূত্রে জানা গেছে, কারাগারে চারটি ভবনে ১৬টি ওয়ার্ড, একটি হাসপাতাল, একটি বিশেষ ওয়ার্ড ও একটি মহিলা ওয়ার্ড রয়েছে। শুক্রবার সকালে কারাগারে সাজাপ্রাপ্ত ও হাজতী আসামীর সংখ্যা এক হাজার ২১৮জন। তিন মাস আগে এর সংখ্যা ছিল ৯০০ এর কাছাকাছি।

শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে জেলা কারাগারের মূল ফটকে অবস্থানরত সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাবুলিয়া গ্রামের ফজর আলী, আশাশুনির প্রতাপনগরের সামছের আলী, কালীগঞ্জ উপজেলার জিরনগাছা গ্রামের নগেন দাস জানান, মাদক সেবনের অভিযোগে তাদের স্বজনদের গ্রেফতার করে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়ে জেলখানায় পাঠানো হয়েছে। তিন মাস আগে ৯০০ জনের মত হাজতী ও সাজাপ্রাপ্ত আসামী ছিল। জুয়াড়ি, মাদক বিক্রেতা ও মাদক সেবীদের ভ্রাম্যমান আদালতে ক্রমাগত সাজার ফলে ওই সংখ্যা শুক্রবার এক হাজার ২১৮জনে দাঁড়িয়েছে। ভ্রাম্যমান আদালতে প্রতিদিন গড়ে ৩০ জনের মত আসামী জেল খানায় ঢুকলেও বের হচ্ছে আট থেকে ১০জন। আগে প্রতিটি ওয়ার্ডে গড়ে ৫০ জনের মত আসামী থাকলেও বর্তমানে এর সংখ্যা ৬৭ থেকে ৭০ জনে দাঁড়িয়েছে বলে স্বজনদের মাধ্যমে জানা গেছে। ফলে রাত কাটাতে আসামীদেরকে কষ্ট পেতে হচ্ছে। ভ্রাম্যমান আদালতে প্রতিদিন সাজাপ্রাপ্ত আসামীদের জেলখানায় পাঠানোর ফলে এ সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে আগামী এক মাসে দু’ হাজারে পৌঁছে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে বন্দীদের অসহনীয় কষ্ট পোহানো ছাড়া উপায় থাকবে না।

এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা জেলা কারাগারের জেলর সোহেল রানা বিশ্বাস জানান, বন্দিদের সংখ্যা দিন দিন বাড়লেও বর্তমানে স্থান সঙ্কট নেই বললেই চলে। তবে যে হারে বিনাশ্রম কারাদণ্ডিত আসামীদের জেলে পাঠানো হচ্ছে তাতে স্থান সঙ্কট হতে বেশিদিন সময় লাগবে না। সেক্ষেত্রে বিকল্প ব্যবস্থা করা হবে।

(আরকে/অ/সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৪)