অহিদুজ্জামান কাজল, মাদারীপুর : মাদারীপুরের চার উপজেলায় হাজার হাজার নিন্মআয়ের মানুষ ও কর্মহীন পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তা ঘরে ঘরে পৌছে দিচ্ছে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুদ্দিন গিয়াস এবং সংশ্লিষ্টরা সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে নিন্মআয়ের মানুষ ও কর্মহীন পরিবারের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তা পৌছে দিতে দেখা গেছে।

সচেতন মহলের বক্তব্য, জেলায় কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী নিরলস কাজ করছেন। জনগণ সচেতন না হলে কোনোভাবেই লকডাউনের সুফল পাওয়া যাবে না। করোনা সংক্রমনরোধে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে থাকলেও অসচেতন মানুষের স্বাস্থবিধি না মানার উদাসীনতা আরো বড় বিপর্যয় নিমন্ত্রন করে ডেকে আনা হচ্ছে। মানুষকে ঘরে রাখতে চার উপজেলায় হাজার হাজার নিন্মআয়ের মানুষ ও কর্মহীনদের মাঝে প্রধানমন্ত্রী মানবিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। তবুও মানুষ অপ্রয়োজনে রাস্তায় চলাচল করছে ঠুনকো অযুহাতে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় জেলার সিভিল সার্জন ডা. মো. সফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘শুক্রবার করোনা শনাক্তের সর্বোচ্চ রেকর্ড হয়েছে। এটা আরও বাড়তে পারে। সংক্রমণ রোধে আমরা কাজ করছি। কিন্তু আমরা যেভাবে কাজ করতে চাই, সেভাবে পারছি না। মানুষ এখনো সচেতন নয়। কোনোভাবেই সরকারি বিধিনিষেধ মানানো যাচ্ছে না। অকারণে ঘর থেকে বের হচ্ছে, প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে। সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশ, আনসার টহল দিয়ে চলে গেলেই ব্যবসায়ীরা আবার দোকানপাট খুলে বসছে। এ কারণে পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। মানুষকে সচেতন করতে জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকাও আমরা আশানুরূপ পাচ্ছি না। শিবচর ছাড়া বাকি তিনটি উপজেলায় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতা আমরা পাচ্ছি না। এদিকে জেলার করোনা হাসপাতালে আইসিইউ স্থাপনের জন্য ইতোমধ্যে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। শিগগিরই এটি চালু হবে।’

(ওকে/এসপি/জুলাই ১০, ২০২১)