ডেস্ক রিপোর্ট : স্ত্রীর অদম্য যৌন আকাঙ্ক্ষা, আক্রমণাত্মক ও একগুঁয়ে মনোভাবে অতিষ্ঠ স্বামী বিবাহবিচ্ছেদের আরজি জানালেন আদালতে। স্বামীর এই অসহায়ত্বকে আমলে নিয়ে বিচ্ছেদের আরজি মঞ্জুর করেছেন আদালত। বিবাহবিচ্ছেদের এই ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়েছে ভারতে মুম্বাইয়ের একটি পারিবারিক আদালতে।

গত জানুয়ারিতে ওই পারিবারিক আদালতে স্ত্রীর জেদি, একগুঁয়ে, আক্রমণাত্মক মনোভাব ও অদম্য যৌন চাহিদার কারণ দেখিয়ে বিবাহবিচ্ছেদের আরজি জানিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। তিনি কারণে-অকারণে ঝগড়া বাধিয়ে স্ত্রীর বিরুদ্ধে তার জীবনকে অতিষ্ঠ করে তোলারও অভিযোগ করেন। স্বামীর পিটিশনকে চ্যালেঞ্জ করেননি তার স্ত্রী।

আদালত বলেছেন, যেহেতু স্ত্রী আদালতে হাজিরা দেননি সেহেতু স্বামীর সাক্ষ্যকে মেনে নিয়েই বিবাহবিচ্ছেদের আরজি মঞ্জুর করা হয়েছে।

২০১২ সালের এপ্রিলে বিয়ে হয়েছিল ওই দম্পতির। আদালতে ওই ব্যক্তি আরজিতে বলেন, ‘অদম্য যৌন চাহিদার কারণে তার স্ত্রী প্রথম থেকেই তাকে হেনস্তা করছেন।’ তার আরো অভিযোগ, ‘যৌন চাহিদা চরিতার্থ করতে স্ত্রী তাকে বিশেষ ওষুধ সেবন ও মদ্যপান করতে বাধ্য করিয়েছেন।’

স্বামীর আরো অভিযোগ, ‘অস্বাভাবিক যৌনক্রিয়ার ব্যাপারেও তার স্ত্রী জোর খাটিয়েছেন। আর এসব করতে অস্বীকার করলেই স্ত্রী তাকে গালাগালি করতেন।’

আদালতে ওই ব্যক্তি আরো জানান, ‘তিনি দিনে তিনটি শিফটে কাজ করার পর খুবই ক্লান্ত হয়ে যেতেন। কিন্তু তার পরোয়া না করেই যৌন আকাঙ্ক্ষা পূরণে স্ত্রী তাকে বাধ্য করতেন। কোনো কারণে অস্বীকার করলে তার স্ত্রী অন্য পুরুষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ারও হুমকি দিতেন।’

কিন্তু পরিস্থিতি একেবারে সহ্যের বাইরে চলে যায় ২০১২ সালের ডিসেম্বরের পর থেকে। ওই ব্যক্তির অভিযোগ, পেটে ব্যথা নিয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হলেও তখন স্ত্রী নিজের বোনের বাড়ি চলে যান। স্বামীর বাড়িতে ফেরেন দুই সপ্তাহ পর। চিকিৎসকরা স্বামীকে কিছুদিনের জন্য যৌন সম্পর্ক থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু স্ত্রী শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে তাকে বাধ্য করেন। তার শরীর আরো খারাপ হলেও স্ত্রীর অস্বাভাবিক চাহিদা থেকে নিষ্কৃতি মেলেনি।

অ্যাপেন্ডিসাইটিসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির পর ছাড়া পেতেই স্ত্রী দাবি করেন, তার বোনের বাড়িতে থাকতে হবে। কিন্তু সেখানেও ছাড় মেলেনি স্বামীর। প্রতিদিনই তাকে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতে বাধ্য করতেন স্ত্রী।

স্বামী আরো জানান, স্ত্রীকে তিনি মানসিক রোগের চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু এতেও স্ত্রী তাকে হুমকি দেন। শেষ পর্যন্ত প্রাণ বাঁচানোর তাগিদেই তিনি বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করেছেন বলে পিটিশনে দাবি করেন।

সূত্র : ইন্টারনেট

(ওএস/এইচআর/সেপ্টেম্বর ০৬, ২০১৪)