স্টাফ রিপোর্টার : জঙ্গিবাদ উত্থানের পেছনে সরকারের হাত আছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আল-কায়েদা নেতা জাওয়াহিরির বাংলাদেশসহ ভারত, মায়ানমারে কাজ করার ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় এক প্রশ্নের জবাবে শনিবার তিনি এ কথা বলেন।

সকালে ইবরাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দলের স্থায়ী কমিটির প্রবীণ সদস্য আর এ গনিকে দেখতে যান ফখরুল।

পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আল-কায়দা নেতা আয়মান আল জাওয়াহিরি সাম্প্রতিক অনলাইন ভিডিও বার্তার পর এটা পরিষ্কার যে আওয়ামী লীগ আমলে দেশে জঙ্গিবাদের উত্থান হয়। তারা সেই পরিবেশ তৈরি করে দেয়। কারণ আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের বিশ্বাস করে না।”

“গণতন্ত্রের জায়গাগুলো নষ্ট হয়ে গেলে উগ্রবাদের উত্থান ঘটে। আওয়ামী লীগের কারণে বর্তমানে দেশে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটছে বলে আমরা মনে করি।”

উল্লেখ্য, বুধবার অনলাইনে পোস্ট করা এক ভিডিও বার্তায় ভারতে শাখা খুলে বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশে কাজ করার ঘোষণা দেন য়মান আল জাওয়াহিরি।

এক ভিডিও বার্তায় আল-কায়েদা নেতা বলেন, এই পদক্ষেপ উপমহাদেশে ইসলামিক আইনের প্রসার ও ‘জিহাদের পতাকা সমুন্নত রাখবে’।

শুক্রবার ধানমন্ডি মসজিদের জুম্মার নামাজ পড়ার সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়লে আর এ গনিকে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

মির্জা ফখরুল এই প্রবীণ নেতার পাশে কিছু সময় অবস্থান করে চিকিৎসকদের কাছ থেকে তার খোঁজ-খবর নেন।

বেলা ১১টা ২০ মিনিটে আইসিইউ থেকে দেখে এসে সাংবাদিকদের তিনি জানান, আর এ গনি এখন সুস্থ আছেন। তার স্বাস্থ্যের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। চিকিৎসকরা আশা করছেন তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন। তার অবস্থা এখন স্থিতিশীল।

একই সময় লন্ডনে এক অনুষ্ঠানে বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেকের বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করা হয় ফখরুলকে।

ওই অনুষ্ঠানে তারেক ধর্মভিত্তিক রাজনীতির বিপক্ষে তার অবস্থানের কথা জানিয়েছিলেন।

এ বিষয়ে বিএনপি মুখপাত্র বলেন,“এ বিষয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে তারেক রহমানের বক্তব্যকে ভিন্নভাবে প্রচার করা হচ্ছে। এটা সঠিক নয়। বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী একটি দল। তারেক রহমানও গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন।”

“গণতন্ত্রে সব পথ ও মতকে বিকশিত করার সুযোগ রয়েছে। গণতন্ত্রে বহু মতে ও পথের রাজনীতি করার অধিকার রয়েছে। তারা করতেও পারেন। এখানে কোনো বাঁধা নেই।”

জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সফর সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, “জাপানের প্রধানমন্ত্রীর এই সফর বাংলাদেশের জনগণের জন্য ইতিবাচক হবে বলে আমরা মনে করি। পত্র-পত্রিকায় দেখেছি, তিনি বিনিয়োগের প্রস্তাব নিয়ে আসছেন। এসব প্রস্তাব বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।”

(ওএস/এটিআর/সেপ্টম্বর ০৬, ২০১৪)