বগুড়া প্রতিনিধি : বগুড়ার নন্দীগ্রামে থালতামাঝগ্রাম ইউনিয়নের নাগর নদে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ভাঙন দেখা দিলে ৪০ মিটার সংস্কার কাজ শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। সংস্কারকাজে ইউক্যালিপটাস গাছের খুঁটি ব্যবহার করা হচ্ছে। এরপর বালুভর্তি বস্তা ফেলা হবে বলে জানিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল মতিন। রোববার পানি উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে বাঁধ সংস্কার কাজ শুরু হয়।

সোমবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গুলিয়া গ্রামে ভাঙনকবলিত স্থানে সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে। সংস্কার শুরু হওয়ায় স্থানীয়দের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে। থালতামাঝগ্রাম ইউনিয়নের এক পাশ দিয়ে বয়ে গেছে নাগর নদ। প্রতিবছর বন্যা ও ভারি বর্ষণের কারণে বাঁধটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বর্ষা মৌসুমের আগেই বাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে মেরামত করে। টানা কয়েক দিনের ভারি বর্ষণে পানি বেড়ে বাঁধে ছোট আকারের ভাঙন দেখা দেয়। ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে বাঁধটি। এ কারণে বাঁধ সংস্কার কাজ শুরু করে।

গুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা সোবহান আলী ও আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমরা বন্যা শঙ্কায় ছিলাম। ইউপি চেয়ারম্যান সবসময় আমাদের খোঁজখবর নিচ্ছেন। নাগর নদের পানি বেড়ে যাওয়ায় বাঁধে ভাঙন দেখা দেয়। তবে এখন পানি কিছুটা কমেছে। বৃষ্টি হলেই ফের পানি বাড়ে।

থালতামাঝগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল মতিন বলেন, টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পানিতে নাগর নদে পানি বাড়ে। দুর্যোগ মোকাবেলা করতে বন্যা নিয়ন্ত্রণে ৪০ মিটার বাঁধের মেরামত করা হচ্ছে।

বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. লিটন আলী বলেন, কয়েকদিনের ভারি বর্ষণে পানি বেড়ে বাঁধে ছোট আকারের ভাঙন দেখা দিয়েছে। বাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ অংশের সংস্কারকাজ শুরু করা হয়েছে।


(এনআই/এএস/জুলাই ১২, ২০২১)