সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : গলায় ওড়না পেচিয়ে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলে এক কলেজ ছাত্রী  ও গাছের সঙ্গে গলায় দড়ি বেঁধে এক কলেজ ছাত্র আত্মহত্যা করেছে। শুক্রবার রাতে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কাশেমপুর ও তালা উপজেলার খলিশখালি গ্রামে এসব আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। পুলিশ দু’টি লাশ উদ্ধার করেছে।

মৃতের নাম হাসনে হেনা পুতুল (২০)। সে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়নের বয়ারডাঙা গ্রামের আশরাফ খানের মেয়ে। মৃত ছাত্রের নাম হৃদয় কুমার দে (১৮)। সে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার খলিষখালি গ্রামের অরুন কুমার দে’এর ছেলে ও সাতক্ষীরা দিবা নৈশ কলেজের মানবিক বিভাগের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র।

কাশেমপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলাম জানান, হাসনে হেনা পুতুল সাতক্ষীরা সিটি কলেজের তৃতীয় বর্ষের (অনার্স) ছাত্রী। সে কয়েক মাস আগে তার বাড়ির ছাত্রীনিবাসে থাকত। শুক্রবার রাত ১০ টার দিকে তিনি হাসপাতাল থেকে ফিরে এসে অন্যান্য ছাত্রীদের কাছে হাসনে হেনাকে খুঁজে না পাওয়ার কথা জানতে পেরে তার বাবা ও মাকে অবহিত করেন। একপর্যায়ে ছাত্রীনিবাসের ঘরের দরজা ভেঙে ঘরের আড়ার সঙ্গে গলার ওড়না পেচানো হেনার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন।

খলিশখালি গ্রামের সুফল আইচ জানান, তার শ্যালক হৃদয় দে সাতক্ষীরা দিবা নৈশ কলেজের মানবিক বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র। শুক্রবার রাতে সে বাড়ি ফিরে ভাত খায়নি। শনিবার সকালে তার ঠাকুরমা ফুল তুলতে যেয়ে একটি জিউলি গাছে গলায় দড়ি বাঁধা অবস্থায় তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়। তবে মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি বলে জানান তিনি।

সাতক্ষীরা সদর থানার উপপরিদর্শক হেকমত আলী জানান, শুক্রবার রাত ১১টার দিকে হেনার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তার ব্যবহৃত মোবাইল থেকে পাঠানো একটি ম্যাসেজে লেখা ছিল “এটা তার সঙ্গে শেষ দেখা”। ধারণা করা হচ্ছে ভালবাসায় প্রতারিত হয়ে সে আত্মহত্যা করেছে। তবে আত্মহত্যার অন্য কারণ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। লাশের ময়না তদন্তের জন্য আজ শনিবার সকাল ১০টার দিকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।

পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ জানান, হৃদয়ের মৃত্যুর ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।


(আরকে/এএস/সেপ্টেম্বর ০৬, ২০১৪)