হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : আগামীকাল রবিবার হবিগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির সম্মেলন। বেলা ৩টায় হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ হলরুমে অনুষ্ঠিতব্য এ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি আলহাজ্ব হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। ইতোমধ্যেই দলের মহাসচিব জিয়া উদ্দিন আহমেদ বাবলু হবিগঞ্জ পৌঁছেছেন।

বৃৃহত্তর রংপুরের পরই সিলেট বিভাগে জাতীয় পার্টির অবস্থান শক্তিশালী। ৯১ এর নির্বাচনে তারা হবিগঞ্জের ৩টি আসনে অংশ নিয়ে ২টি আসনে জয়লাভ করে। সিলেট বিভাগের ১৯টি আসনের মাঝে সেই নির্বাচনে লাভ করেছিল ৮টি আসন। ’৯৬ এর নির্বাচনেও হবিগঞ্জে ১টি আসন লাভ করে তারা। এরপর থেকেই শুরু হয় ভাঙ্গন।

জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আবু লেইছ মো. মুবিন চৌধুরী চলে যান বিএনপিতে। সভাপতি হন খলিলুর রহমান রফি। তিনিও কিছুদিন পর যোগ দেন বিএনপিতে। পরে আসেন আজিজুল বারী কামাল। তিনিও দলের মূল স্রোতের বাইরে চলে যান একসময়। পরে দায়িত্ব নেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আতিকুর রহমান আতিক। সম্প্রতি তিনিও দলবদল করে যোগ দেন কাজী জাফরের দলে। দলের এত উত্থান পতনের মাঝেও দলের হাল ধরে রেখেছিলেন শংকর পাল। বার বার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে দলকে কক্ষপথে রাখেন তিনি। কিন্তু এবার মূল স্রোতকে পাশ কাটিয়ে বেলজিয়াম প্রবাসী সোবহান চৌধুরী বসতে যাচ্ছেন সভাপতির চেয়ারে। জনগণের সাথে সম্পৃক্ত না থাকলেও এরশাদের সাথে ঘনিষ্ঠতায় তিনি এগিয়ে রয়েছেন অনেকটা। তবে তিনি নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করতে ব্যর্থ হয়েছেন, প্রচার প্রচারণায়ও রয়েছেন পিছিয়ে।

দলের নেতৃত্ব পাওয়ার লড়াইয়ে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন সভাপতি পদে বর্তমান আহবায়ক আব্দুস ছোবহান চৌধুরী, এমপি এম এ মুনিম চৌধুরী বাবু ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক শংকর পাল এবং সাধারণ সম্পাদক পদে জেলা জাপা’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাউছার উল গনি, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিন আহমেদ ও জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে সর্বশেষ জাতীয় পার্টির জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেখানে আতিকুর রহমান আতিক সভাপতি ও শংকর পাল সাধারণ সম্পাদক মনোনিত হন।

(পিডিএস/এএস/সেপ্টেম্বর ০৬, ২০১৪)