মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি : প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ করতে রাজধানী ছাড়ছে হাজারও মানুষ। শনিবার (১৭ জুলাই) সকাল থেকেই ঘরমুখো মানুষের চাপ রয়েছে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরি ঘাটে। তবে ফেরি ও লঞ্চ পারাপারে বড় ধরনের কোনো দুর্ভোগ ও ভোগান্তির অভিযোগ নেই যাত্রীদের। ঘাটে বাসের তুলনায় চাপ রয়েছে ব্যক্তিগত ছোট গাড়ির।

সরেজমিন ঘাট ঘুরে দেখা গেছে, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌ-রুটে ছোট-বড় ১৬ ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার চলছে। পাটুরিয়া ঘাটে মাঝে মধ্যেই যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বাড়লেও ফেরি ও লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক থাকায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে না যাত্রীদের। ঘাটে পৌঁছেই নদী পার হতে পারছেন তারা। তবে ফেরির চেয়ে লঞ্চেই যাত্রী পার বেশি হচ্ছে।

এদিকে, বিআইডব্লিউটিএ কর্মকর্তারা হ্যান্ডমাইক দিয়ে যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধিসহ সরকারি নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানালেও যাত্রীরা তা খুব একটা আমলে নিচ্ছে না।

অপরদিকে, ফেরিতে যাত্রীবাহী যানবাহন ও কোরবানীর পশুবাহী ট্রাককে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপার করা হচ্ছে। ফলে সাধারণ পণ্যবাহী কয়েকশ ট্রাক আটকা পড়েছে নদীর দুই প্রান্তে। তবে রাত ও সকালের দিকে যাত্রীবাহী যানবাহনের চাপ কম থাকে বলে অপেক্ষমান এসব ট্রাক পারাপার করার কথা জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিসি কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা অঞ্চলের ডিজিএম মো. জিল্লুর রহমান জানান, লকডাউন শিথিল এবং ঈদকে সামনে রেখে রাজধানী ছেড়ে আসা মানুষের চাপ বেড়েছে পাটুরিয়া ঘাটে। একইভাবে দৌলতদিয়া ঘাটে চাপ রয়েছে রাজধানীমুখি কোরবানীর পশুবাহী ট্রাকের। ছোট বড় ১৬ ফেরি দিয়ে সার্বক্ষণিক পারাপারের কারণে কোনো যানজট বা দুর্ভোগ নেই। ঈদের আগের দিন পযর্ন্ত যাত্রী চাপ অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানান তিনি।

(ওএস/এএস/জুলাই ১৭, ২০২১)