বরিশাল প্রতিনিধি : কমিউনিটি পুলিশিংয়ের রূপকার বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত আইজি (এডমিনিস্ট্রেশন এন্ড অপারেশন) একেএম শহীদুল হক বিপিএম, পিপিএম প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, পুলিশ জনতার মধ্যে ব্যাবধান দূর করা এবং জনতার সহায়ক হিসেবে পুলিশ কাজ করবে এমন লক্ষ্য নিয়েই তিনি এই কমিউনিটি পুলিশিং পদ্ধতি চালু করেন।

২০০৭ সালে এই কার্যক্রম চলমানের পর থেকে অপরাধ দমন এবং এলাকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এই পদ্ধতি বেশ ভূমিকা রাখছে।

জনতাই পুলিশ, পুলিশই জনতা এই শ্লোগান নিয়ে বরিশালে জেলা এবং নগর পুলিশ আয়োজিত শনিবার বিকেল সোয়া তিনটায় পুলিশ লাইন্সে কমিউনিটি পুলিশিং ও সুধি সমাবেশ উল্লেখিত কতঅ বলেন তিনি।

শহীদুল হক আরো বলেন, এলাকার মান্যগণ্যরা এই কমিটির নেতৃত্বে থাকছেন বলে পুলিশ এবং জনতা উভয়ের সুবিধা হচ্ছে। তিনি আশা করছেন এই কর্মসূচির ফলে এক সময় দেশে অপরাধ প্রবণতা অনেকটা কমে আসবে।

বরিশালের ভারপ্রাপ্ত ডিআইজি কমান্ডার আরআরএফ কাজী মোর্তাজ আহমেদের সভাপতিত্বে এখানে বিশেষ অতিধির বক্তব্য রাখেন বরিশালের জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল আলম, দশম এপিবিএন’র কমান্ডিং অফিসার আ. রহিম, ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কমিশনার সোয়েব আহমেদ পিপিএম, পুলিশ সুপার একেএম এহসানউল্লাহ্।

সভায় এলাকার সমস্যা ও কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে বক্তব্য রাখেন হিজলা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আইয়ুব হোসেন তালুকদার, বাকেরগঞ্জ উপজেলা কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদিন, হিজলা উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান মহসিনা বেগমসহ অন্যরা। জেলা এবং নগর পুলিশ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।

(বিএস/এএস/সেপ্টেম্বর ০৬, ২০১৪)