আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : বরিশালের গৌরনদী উপজেলার টরকী বন্দরের বিভিন্ন ব্যাংকে খুচরো টাকা (ছোট নোট) জমা না নেয়ায় বিপাকে পড়েছেন সাধারন ব্যবসায়ীরা। এ নিয়ে ব্যবসায়ীদের সাথে প্রায়ই ব্যাংক ষ্টাফদের বাকবিতান্ডা হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের দাবি ব্যাংক কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালীপনায় কারণে তারা ব্যবসায়ী ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছেন।

ভুক্তভোগি পরিবেশক ব্যবসায়ীরা জানান, তারা বিভিন্ন কোম্পানীর পন্য গৌরনদী উপজেলাসহ পার্শ্ব উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে বিক্রি করে থাকেন। এসব ক্ষুদ্র দোকানের মালিকরা ২, ৫, ১০, ২০, ৫০ ও ১০০ টাকার নোট বেশি দিয়ে থাকেন। টরকী বন্দরের আইডব্লিউ ডিস্ট্রিবিউশনের মালিক কাজী আল আমীন, ইউনিলিভারের স্থানীয় পরিবেশক পারভেজ মিয়া, ট্রান্সকম ইন্টারন্যাশনালের স্থানীয় পরিবেশক রফিকুল ইসলাম অভিযোগ করেন, তাদের কোম্পানীর পন্য বিক্রির খুচরো টাকা নিয়ে সোনালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক টরকী বন্দর শাখায় কোপম্পানীতে টিটি পাঠাতে অথবা একাউন্টে জমা করতে যান। এ সময় এসব ব্যাংকের ষ্টাফরা নানা অজুহাত দেখিয়ে খুচরো টাকা জমা নেন না। এ নিয়ে তাদের সাথে ব্যাংক ষ্টাফদের নিয়মিত বাকবিতান্ডা হচ্ছে।

অলিম্পিক কোম্পানীর স্থানীয় পরিবেশক মাহাবুব আলম খোকন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমারা কত কস্ট করে ব্যাংকের লোন ও ধার দেনা করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি। ব্যাংক কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালীপনায় খুচরো টাকা জমা দিতে না পারায় আমরা ব্যাংকে অতিরিক্ত সুদ দিচ্ছি। এ ছাড়া ব্যবসায়ী ভাবে ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছি। এ ব্যাপারে আমরা ব্যাংকের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। নতুবা আমাদের আন্দোলনের পথ বেছে নিতে হবে।’

অভিযোগ অস্বিকার করে ন্যাশনাল ব্যাংকের অ্যাডভান্স অফিসার আসাদুল হক বলেন, ‘আমাদের নিয়মিত গ্রাহকদের কাছ থেকে খুচরো টাকা নিচ্ছি।’ টরকী বন্দর সোনালী ব্যাকের শাখা ব্যবস্থাপক কিবরিয়া হোসেন এ প্রসঙ্গে বলেন, ব্যাংকের ভোল্টে পর্যাপ্ত যায়গা না থাকায় খুচরো টাকা নিতে পারছিনা।’

(টিবি/এএস/সেপ্টেম্বর ০৬, ২০১৪)