হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : হবিগঞ্জের বাহুবলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় ৩০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। শনিবার বিকেলে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গ্রেফতার এড়াতে গা-ঢাকা দেয়ায় ৫টি গ্রাম এখন পুরুষশূন্য।

পুলিশ সূত্র জানায়, বাহুবল উপজেলার চারগাঁও প্রকাশিত ভৈরবীকোণা গ্রামের তাজুল ইসলাম চৌধুরী ও ইউপি মেম্বার আব্দুর রহিম ওরপে ময়না মিয়ার নেতৃত্বাধীন গ্রুপের মাঝে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘ বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে ইতোপূর্বে মামলা-হামলার ঘটনাও ঘটেছে।

এর জের ধরে শুক্রবার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে উপজেলার চারগাঁও প্রকাশিত ভৈরবীকোণা গ্রামের পাশে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উপর উভয় পক্ষের ৩ থেকে সাাড়ে ৩শ’ লোক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় ৫ পুলিশসহ উভয় পক্ষের শতাধিক লোক আহত হয়। দুই ঘন্টা স্থায়ী সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ৪৯ রাউন্ড ফাঁকাগুলি ও ৪ রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। গুরুতর আহতদের হবিগঞ্জ ও বাহুবল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে এসআই মজিবুর রহমান বাদী হয়ে তাজুল ইসলাম চৌধুরী ও আব্দুর রহিম ওরপে ময়না মিয়াসহ ৩০০ লোকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

মামলায় পুলিশ যশপাল গ্রামের ফিরোজ উল্লার পুত্র আরজু মিয়া, আকবর আলীর পুত্র সামছুল হক, সফর আলীর পুত্র শাহিন মিয়া, আব্দাপটিয়া গ্রামের উলফত উল্লার পুত্র আব্দুল হাই, আব্দুস ছালামের পুত্র নূরে আলম, দৌলতপুর গ্রামের আজগর আলীর পুত্র রেনু মিয়া ও কচুয়াদি গ্রামের মৃত মঈন উল্লার পুত্র আছকিরকে বাহুবল থানা পুলিশ এবং পশ্চিম শাহাপুর গ্রামের আব্দুল গণির পুত্র রাজ্জাক মিয়া, খোজারগাঁও গ্রামের আব্দুস ছত্তারের পুত্র আপ্তাব আলী ও হরিপাশা গ্রামের দরছ আলীর পুত্র মহিদ মিয়াকে হবিগঞ্জ সদর থানা পুলিশ গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে প্রথম ৬ জনকে শনিবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়। আছকির মিয়া আটক অবস্থায় বাহুবল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং অন্য ৩ জন হবিগঞ্জ সদর থানার তত্ত্বাবধানে রয়েছে।

এদিকে মামলার অন্যান্য আসামীরা গ্রেফতার এড়াতে চারগাঁও গ্রামভুক্ত ভৈৗরবীকোণা, হাবিজপুর, আব্দাপটিয়া, পশ্চিম শাহাপুর ও যশপাল গ্রামের অধিকাংশ পুরুষ আত্মগোপন করেছেন। এতে গ্রামগুলো কার্যত পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে। সর্বত্র থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

বাহুবল মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই খায়রুজ্জামান জানান, আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

(পিডিএস/এএস/সেপ্টেম্বর ০৬, ২০১৪)