ফেনী প্রতিনিধি : ফেনীর সুলতানপুরে ঈদের আগে আলোচিত গরু ব্যবসায়ী শাহজালাল হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামী ফেনী পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম এখনো পলাতক রয়েছে। চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের ১০ দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও পুলিশ এখনও প্রধান আসামী কালামকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মাঈনুল ইসলাম জানান, কালামকে ধরতে সব ধরনের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে পুলিশ।

এদিকে ছেলে হত্যাকাণ্ডের দশদিন পেরিয়ে গেলেও প্রধান আসামী ধরা না পড়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন নিহত গরু ব্যবসায়ী শাহজালালের বাবা কিশোরগঞ্জের আবদুল জব্বার।

সংশ্লিষ্টসূত্র জানায়, কালামকে ধরতে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে একাধিকবার সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে। তবে তাকে আটক করা যায় নি।

উল্লেখ্য, ১৬ জুলাই (শুক্রবার) সকালে ফেনী পৌরসভার ফেনী গালর্স ক্যাডেট সংলগ্ন আমিনবাজার সড়কের পাশের একটি পুকুর হতে শাহজালালের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার সুতারপাড় ইউপি মেম্বার আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে কালামকে প্রধান আসামী করে ৩ জনের নামে ফেনী মডেল থানায় মামলা করে। এ মামলায় অপর দুই আসামীরা হচ্ছে ছাগলনাইয়ার দক্ষিণ মন্দিয়ার নাজিম উদ্দিনের ছেলে নাঈমুল হাসান, ফেনী শহরের বিরিঞ্চি এলাকার মফিজ মেম্বার বাড়ির দুলালের ছেলে রাজু।

ঘটনার পর থেকে কাউন্সিলর কালাম ও রাজু পলাতক রয়েছে। এরই মধ্যে নাঈমুল হাসানকে আটক করেছে পুলিশ, সে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দিয়েছে।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, ওইদিন সুলতানপুর এলাকায় এলে স্থানীয় কাউন্সিলর আবুল কালাম ও তার ২ সহযোগি মিলে কোরবানির গরু লুট করতে গিয়ে গরু ব্যবসায়ী শাহজালালকে গুলি করে হত্যা করে। তার লাশ মোটরসাইকেলে তুলে আমিনবাজার সড়কের পাশের একটি পুকুরে ফেলে রেখে যায় কালাম ও তার সহযোগি।

বিএনপি'র সাবেক সাংসদ ভি পি জয়নালের ক্যাডার থেকে আ. লীগে যোগদানকারী আবুল কালামের বিরুদ্ধে ফেনীর ছাত্রলীগ নেতা নজরুল ইসলাম ও আনোয়ার হোসেন রতন হত্যা মামলা সহ ডজন খানেক খুনের অভিযোগ রয়েছে।
ঈদের আগে আলোচিত গরু ব্যবসায়ী হত্যার প্রধান আসামী কাউন্সিলর কালামকে পুলিশ গ্রেফতার করতে না পারায জনমনে বিরূপ মনোভাব দেখা দিয়েছে।

(এনকে/এসপি/জুলাই ২৭, ২০২১)