গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর গলাচিপায় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উপহার সরকারি ঘর পাওয়ার আকুতি জানিয়েছেন অসহায় সাজেদা বেগম (৫০)। সাজেদা বেগম হচ্ছেন উপজেলার রতনদী তালতলী ইউনিয়নের উলানিয়া বাজারের বাসিন্দা ও একই গ্রামের মো. আমির হোসেন (৬৫) এর স্ত্রী। খালের পাশে খোলা আকাশের নিচে টিনের চালা ঘরে আছে কাঠের ভাঙ্গাচোরা চোকি, কাঁথা-বালিশ ও হাড়ি-পাতিল। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের তান্ডবে উড়ে নিয়ে যায় মাথা গোজার ছাপড়া ঘরটি। এখন উপরে কোন রকম পুরাতন টিন দিয়ে পাশে ট্রিপল কাগজের বেড়া দিয়ে থাকেন অসহায় সাজেদা বেগম। 

সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, বাবার পৈত্রিক অংশে পাওয়া ২ শতাংশ জায়গার ওপর জমানো কিছু টাকা দিয়ে একটা ছাপড়া ঘর তোলেন তিনি। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের কারণে লন্ডভন্ড হয়ে যায় সাজেদা বেগমের সেই বসতঘর। নতুন করে ঘরটি তোলার মত সামর্থ্য তার নাই। ট্রিপল কাগজের বেড়া দিয়েই থাকেন সেই ঘরে সাজেদা বেগম।

কান্নাজড়িত কন্ঠে সাজেদা বেগম বলেন, ‘আমার জন্মই আজন্ম পাপ। সারাটা জীবন শুধু কষ্ট করে গেলাম! একটা নতুন সরকারি ঘরের আশায় চেয়ে আছি! আমারে সবাই একটু সহযোগিতা করলে মনে হয় একটা সরকারি ঘর পেতাম’।

এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য মো. আলমগীর মুন্সি বলেন, সত্যিই সাজেদা বেগম অসহায় নারী। তাকে সরকারি যে কোনো সহযোগিতা পাইয়ে দেওয়ার ব্যাপারে চেষ্টা করব। ১, ২ ও ৩নং সংরক্ষিত মহিলা মেম্বর রুমা বেগম বলেন, আসলেই সাজেদা বেগম অসহায় নারী। তার দুই শতাংশ জমি আছে। কিন্তু থাকার মত তেমন কোন ঘর নেই। সরকারি একটি ঘর তার অবশ্যই পাওয়া দরকার।

এ বিষয়ে রতনদী তালতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম মস্তফা বলেন, এখন সরকারিভাবে গৃহহীনদের জন্য গৃহ নির্মাণ করা হচ্ছে। যেহেতু তার জমি আছে এবং অসহায় সেহেতু বিস্তারিত জেনে সাজেদা বেগমকে ঘর পাইয়ে দেওয়ার জন্য সুপারিশ করব।

রতনদী তালতলী ইউনিয়নের তহশীলদার মো. আলাউদ্দিন মিয়া বলেন, আসলেই সাজেদা বেগমের পরিবার অসহায় দিন যাপন করছে। ইউনিয়ন পরিষদে সাজেদার জন্য সুপারিশ করব।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ও রতনদী তালতলী ইউনিয়নের টেক অফিসার মো. বায়েজিদ মিয়া বলেন, সাজেদা বেগম অসহায় গৃহহীন নারী। তার জন্য সরকারি ঘর পাওয়ার জোর সুপারিশ করা হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশিষ কুমার বলেন, যাচাই বাছাই করে ঘর পাওয়ার মত হলে অবশ্যই ঘর পাবে।

(এসডি/এসপি/জুলাই ২৮, ২০২১)