ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : ঈশ্বরদী বাজারে চালের দাম বেড়েছে। অতি নিম্নমানের চাল ও আটা ৪৫ ও ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে নিম্নআয়ের মানুষ ছুটছেন থাদ্য অধিদপ্তরের আওতায় ন্যায্যমূল্যে খোলা বাজারে (ওএমএস) চাল-আটা বিক্রির ডিলারদের কাছে। তাই ওএমএস-এর দোকানে ক্রেতারা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে চাল ও আটা কিনছেন। ঈশ্বরদী পৌর এলাকায় ৪টি ডিলারের দোকানে এই লাইন দেখা গেছে।

খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার ঈশ্বরদী পৌর এলাকায় গত ২৫ জুলাই থেকে পোষ্ট অফিসমোড়, আকবারের মোড়, পিয়ারপুর ও এস এম স্কুল এ্যান্ড কলেজ এলাকায় চারটি পয়েন্টে একযোগে খোলা বাজারে (ওএমএস) চাল ও আটা বিক্রি কার্যক্রম শুরু করেছে। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে নিম্নআয়ের মানুষ কিনছেন এই দুটি খাদ্য পণ্য। এসময় সামাজিক দূরুত্ব বজায় রাখা সম্ভব হচ্ছে না।

থানা থাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বাদে প্রতিদিন ওএমএস কর্মসূচির জন্য প্রত্যেক ডিলারকে ১ হাজার ৫০০ কেজি করে চাল ও ১ হাজার কেজি আটা প্রতিদিন বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। ৭ই আগষ্ট পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলবে। চাল প্রতি কেজি ৩০ টাকা এবং আটা ১৮ টাকা কেজিতে বিক্রি করা হচ্ছে। ওএমএস-এর দোকান থেকে জন প্রতি পাঁচ কেজি চাল অথবা আটা যে কেউ কিনতে পারবেন।

এস এম স্কুল এ্যান্ড কলেজ এলাকায় ওএমএসের ডিলার আনোয়ারুল ইসলাম রতন বলেন, চাল ও আটার মান খুব ভালো। বাজারে বাড়তি দামে চাল ও আটা কিনতে নাভিশ্বাস উঠেছে নিম্নআয়ের মানুষের। তাই তারা ভীড় করছেন এমএসের ডিলারের কাছে। চাহিদা খুব বেশী। সকাল ১০ টায় বিক্রি শুরু হয়। বিক্রি শুরুর কয়েক ঘন্টাতেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। বরাদ্দের চেয়ে চাহিদা পাঁচ গুণ বেশী। চাপ সামাল দেওয়ার জন্য বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি বলে জানান তিনি।

কেন্দ্রে চাল-আটা কিনতে আসা জরিনা বেগম বলেন, বাজারে চালের দাম বেশী। এখানে একটু কম দামে চাল ও আটা পাওয়া যাচ্ছে। তাই লাইনে দাড়িয়েছি।
ভ্যান চালক সাইফুল ইসলাম বলেন , লকডাউনে রাস্তায় ভাড়া নেই। রোজগারও নেই। বাজারে চাল-আটা কোন কিছুতেই স্বস্তি নেই। তাই এখানে চাল কিনতে এসেছি।

(এসকেকে/এএস/জুলাই ৩০, ২০২১)