দিনাজপুর প্রতিনিধি : স্বামী হারা আদিবাসী বৃদ্ধা লাইলি মুরমু একটি বয়স্কভাতা কার্ডের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। মৃত্যুপূর্বে সরকারের এই সুবিধা ভোগ করতে চান তিনি।

দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার পুটিমারা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের টঙ্গী শ্যামপুর গ্রামের মৃত সুবল হাসদার স্ত্রী ৭৫ বয়স অসহায় আদিবাসী বৃদ্ধা লাইলি মুরমু। জীর্ণ কুঠিরের উঠানে আদিবাসি বৃদ্ধা লাইলি মুরমু কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, পৃথিবীতে আমার আপন বলতে কেউ নেই। থাকি ছোট একটি কুঠিরে। একটি মেয়ে ছিল। বিয়ের পর সেও মারা গেছে। স্বামী সুবল হাসদা মারা গেছেন ৬/৭ বছর পূর্বে। স্বামী মারা যাবার পর থেকে বৃদ্ধা লাইলি নিজেই পরিশ্রম করে কোন মত জীবিকা নির্বাহ করতেন। কিন্তু এখন সেটাও আর পারেন না। তাই দিন চলে ভিক্ষা করে। সরকারী ভাবে কোন অনুদান পান না। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে ধর্ণা দিয়েও কোন লাভ হয়নি। টাকা না দিলে নাকি সে সব সুবিধা পাওয়া যায় না। মৃত্যুর আগে বৃদ্ধা লাইলি একটি বয়স্ক ভাতার কার্ডের মাধ্যমে সরকারের সুযোগ পেতে চান।

৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম বলেন, নতুন কার্ড না আসলে দিব কেমন করে। কার্ড আসুক দেখা যাবে। উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার রোকুনুজ্জামান মন্ডল বলেন, নতুন উপকারভোগীর নামের তালিকা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে চাওয়া হয়েছে। তালিকা আসলে বিষয়টি দেখা হবে।

(এটি/পি/সেপ্টেম্বর ০৭, ২০১৪)