লালমনিরহাট প্রতিনিধি : কোনোপ্রকার যাচাই-বাছাই ও দালিলিক প্রমাণ ছাড়া হাতীবান্ধায় ৫২ ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার তালিকা প্রকাশের অভিযোগে সমাবেশ ও সংবাদ সম্মেলন করেছে মুক্তিযোদ্ধাদের একাংশ। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাদের দুটি পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে।

স্থানীয় প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে রবিবার দুপুরে হাতীবান্ধার মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন ও প্রতিবাদ সমাবেশে অভিযোগ করা হয়। সেখানে বলা হয়, সম্প্রতি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নির্বাচনে যে সব মুক্তিযোদ্ধা নির্বাচিত কমান্ডারের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল, সে সব মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে যড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই তথাকথিত ৫২ ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ওই সব মুক্তিযোদ্ধার অনেকেই ৭১-এর রণাঙ্গনে সম্মুখ যুদ্ধে অংশ নিলেও তাদের কোনোপ্রকার দালিলিক প্রমাণ ছাড়া ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বলে ঘোষণা করে জাতিকে বিভ্রান্তের অপচেষ্টা চলছে বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়।

এ সময় মুক্তিযোদ্ধাদের অনেকেই তাদের স্বপক্ষে বিভিন্ন দালিলিক প্রমাণাদি ও যুদ্ধের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। মুক্তিযোদ্ধাদের অভিযোগ, যাচাই-বাছাই ছাড়া জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আখ্যায়িত করা পুরোপুরি অনৈতিক। এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেন তারা।

মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মুজিবনগর সরকারের কর্মচারী মোস্তফা হোসেন। এতে বক্তব্য রাখেন- মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ের ৬ নম্বর সেক্টরের অন্যতম সংগঠক অধ্যক্ষ (অব.) নুরুজ্জামান আহম্মেদ, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম বসুনিয়া ও আজগার হোসেন।

প্রসঙ্গত, এর আগে গত ২ সেপ্টেম্বর হাতীবান্ধা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ফজলুল হকের সভাপতিত্বে ৫২ জন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার তালিকা প্রকাশ করে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাতীবান্ধার মুক্তিযোদ্ধারা এখন দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন।

(ওএস/এইচআর/সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৪)