ডেস্ক রিপোর্ট : আজ ৮ সেপ্টেম্বর সোমবার আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস। দিবসটি উপলক্ষে সারাদেশে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহ নানা কর্মসূচির উদ্যোগ নিয়েছে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য “টেকসই উন্নয়নের মূল কথা সাক্ষরতা আর দক্ষতা (লিটারেসি এ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট)। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী এ উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন।

দিবসটি উপলক্ষে “গার্লস এ্যান্ড উইমেন লিটারেসি এ্যান্ড এডুকেশন : ফাউন্ডেশন ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট” শীর্ষক এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণ সাক্ষরতায় চ্যাম্পিয়ন ১৪ টি দেশের প্রতিনিধিদের হাতে ইউনেস্কো লিটারেসি এ্যাওয়ার্ড তুলে দেবেন।

সম্মেলন সম্পর্কে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী এডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান

বলেন, নারী শিক্ষায় বাংলাদেশের সাফল্য জাতিসংঘের অন্যান্য সদস্য রাষ্ট্র সমূহের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে ইউনেস্কো সদর দপ্তর থেকে এ বছর বাংলাদেশকে এ সম্মেলন আয়োজনের দায়িত্ব দেয়। এতে ৩৬ টি দেশের প্রতিনিধি অংশ নেবেন। বাংলাদেশ সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যৌথভাবে আন্তর্জাতিক এ সম্মেলনের আয়োজন করেছে। নারী শিক্ষায় বাংলাদেশের সাফল্যের জন্য ২০১২ সালে বাংলাদেশ ইউনেস্কো লিটারেসি এ্যাওয়ার্ড অর্জন করে।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে সাক্ষরতার হার বর্তমানে ৬৫ শতাংশ এবং প্রাথমিক শিক্ষায় নিবন্ধনের হার প্রায় শতভাগ। কিন্তু এখনো প্রায় আড়াই কোটি লোক নিরক্ষর রয়ে গেছে। তা সত্বেও সাক্ষরতার হার বৃদ্ধিতে আমাদের আরো অনেক কাজ বাকি। এজন্য তিনি সরকারের পাশাপাশি গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

উল্লেখ্য, ১৯৬৫ সালের নভেম্বরের ১৭ তারিখে ইউনেস্কো ৮ সেপ্টেম্বরকে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস ঘোষণা করে। ব্যক্তি, গোষ্ঠী ও সমাজের মধ্যে শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা ও তাৎপর্য তুলে ধরার লক্ষ্যে এ দিবসটি নির্ধারণ করা হয়। ১৯৬৬ সালে বিশ্বে প্রথম আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস পালন করা হয়। প্রতিবছর এ দিবসটি উদযাপনের মধ্যে দিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিভিন্ন দেশের সাক্ষরতা এবং বয়স্ক শিক্ষার অবস্থা তুলে ধরা হয়। স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭২ সালে প্রথম সাক্ষরতা দিবস উদযাপিত হয়।

(ওএস/এইচআর/সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৪)