ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : ঝিনাইদহ শহরে সিধেল চোরের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল বাসিন্দারা। চুরির আতঙ্কে কাটছিল দিন। কয়েকদিনের ব্যবধানে হামদহ ও উপশহর পাড়াসহ বেশ কিছু জায়গায় বাড়ির জানালা-গ্রীল কেটে স্বর্ণালংকার, মোবাইল, টাকা, ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইসসহ মূল্যবান জিনিস পত্র চুরি করে নিয়ে যাচ্ছিল অজ্ঞাত চোর। অবশেষে পুলিশের হাতে আটক সেই চক্রের হোতা। ঝিনাইদহ শহরের আল ফালাহ হাসপাতালের সামনে ডাঃ রাশেদা সুলতানার বাড়িতে ভাড়া থাকেন সুরাট ইউনিয়নের কল্যাণপুর গ্রামের মসলেম জোয়ার্দারের ছেলে রফিকুল ইসলাম।

গত রমজানের ঈদের ২য় দিন নারিকেল বাড়িয়ায় শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে যান। বাসায় ছিল না কেউ। পরের দিন সকালে বাসায় এসে দেখেন ৩টি শোবার ঘরের দরজা খোলা, আলমারি খোলা ও ড্রেসিং টেবিলের ড্রয়ার ভাঙ্গা। এই বাড়ি থেকে রফিুকলের মায়ের প্রায় ১০ ভরি ও স্ত্রীর ৪ ভরি স্বর্ণের গহনা, নগদ ১ লাখ ১০ হাজার টাকা ও ল্যাপটপ নিয়ে যায়। জানালা কেটে ঘরে প্রবেশ করে চোর। ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি মামলা করেন রফিকুল ইসলাম। মামলার তদন্তভার পান ওসি অপারেশন খায়রুল ইসলাম খায়ের।

চুরির রেকর্ড আছে এমন ছেলেদের গতিবিধি লক্ষ্য করতে থাকেন। অবশেষে এক সোর্সের মাধ্যমে খবর পান মহারাজপুর ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামের আওয়ালের ছেলে সজল এই চুরি করেছে। তাকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে স্বীকার হয় চুরির কথা। জানায় শহরের স্বর্ণপট্টির জনপ্রিয় জুয়েলার্সের মালিক পলাশ অধিকারির কাছে এই গহনা অর্ধেকেরও কম দামে সে বিক্রি করে। পুলিশ পলাশ অধিকারিকেও গ্রেফতার করে। এই মামলায় দুই জনকেই আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।

ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি অপারেশন খায়ের জানান, দীর্ঘদিন সোর্স নিয়োগ করে চুরির রেকর্ড আছে এমন চোরদের নজরে রেখেছিলাম। সোর্স নিশ্চিত করে সজল গয়েশপুরে শ্বশুর বাড়িতে আছে। তাকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে সব স্বীকার হয়। তার কাছে থাকা ল্যাপটপ ও ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী উদ্ধার করা হয়।

(একে/এসপি/আগস্ট ০৪, ২০২১)