স্টাফ রিপোর্টার : দুই দুর্নীতির মামলায় বিচারক নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার করা রিট খারিজ করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে দু’টি আপিল আবেদনের শুনানি পুনরায় মঙ্গলবার পর্যন্ত মুলতবি করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

আজ সোমবার তৃতীয় দিনের মতো প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চে শুনানি করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী এজে মোহাম্মদ আলী। এর আগে গত ৪ সেপ্টেম্বর শুনানি শুরু করেন খন্দকার মাহবুব হোসেন ও অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন।

রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও দুদকের পক্ষে খুরশিদ আলম খান আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়াউর রহমান চ্যারিটেবল ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা দুর্নীতির মামলা দু’টি বিচারাধীন ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ বাসুদেব রায়ের আদালতে। ঢাকা মহানগরের বকসিবাজার এলাকার সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা ও ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার সংলগ্ন মাঠে নির্মিত অস্থায়ী আদালতভবনে এ বিচার চলছে। আগামী ১০ সেপ্টেম্বর মামলা দু’টির সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর দিন ধার্য বিচারিক আদালত।

বিচারিক আদালতে অভিযোগ গঠনকারী বিচারকের নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ১২ মে একটি রিট আবেদন দায়ের করেন খালেদা জিয়া। গত ১৯ জুন রিটটি খারিজ করে দেন বিচারপতি কাজী রেজা-উল হকের একক বেঞ্চ(তৃতীয় বেঞ্চ)।

হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে গত ৭ জুলাই আপিল বিভাগে দু’টি সিএমপি (৭৬৫ ও ৭৬৬) আপিল করেন খালেদা। এ আপিল দু’টির শুনানি শুরু হয়েছে গত বৃহস্পতিবার।

খালেদার পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল দু’টি দায়ের করেন অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান। আপিলে বিচারিক আদালতে চলমান মামলা দু’টির বিচারিক কার্যক্রমেও স্থগিতাদেশ চাওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে মামলা দু’টিতে অভিযোগ (চার্জ) গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে গত ১৩ এপ্রিল হাইকোর্টে একটি রিভিশন আবেদন করেন খালেদা জিয়া। গত ২৩ এপ্রিল রিভিশন আবেদনটি খারিজ করে দেন বিচারপতি বোরহান উদ্দিন ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

৭ জুলাই ওই রায়ের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি লিভ টু আপিল (সিপি) দাখিল করেন আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন। এ আপিল দু’টির শুনানি শুরুর অপেক্ষায় রয়েছে।

গত ১২ মে বিচারিক আদালতে অভিযোগ গঠনকারী বিচারকের নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে খালেদা জিয়ার পক্ষে অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান একটি রিট আবেদন দায়ের করেন। রিট বিবেচনাধীন থাকা পর্যন্ত মামলা দু’টির বিচারিক কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশও চাওয়া হয়।

অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান জানান, বিশেষ জজ আদালতের বিচারকদের নিয়োগ দেওয়ার জন্য গেজেট জারি করতে হয়। কিন্তু খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুই দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ দানকারী বিচারকের নামে কোনো গেজেট নোটিফিকেশন জারি করা হয়নি। তাই এ অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়।

(ওএস/এটিআর/সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৪)