রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : সারা দেশের ন্যায় শনিবার (৭ আগস্ট) থেকে কুড়িগ্রাম জেলার পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডসহ ৯ উপজেলার ৭৩টি ইউনিয়ন ও ৩টি পৌরসভায় ৮৪টি কেন্দ্রে একযোগে গণটিকাদান কর্মসূচি কার্যক্রম শুরু হয়। গণটিকার মাধ্যমে জেলায় মোট ৪৬ হাজার ৮শত জনকে টিকা প্রদান করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে সিভিল সার্জন ডাঃ হাবিবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। 

কুড়িগ্রাম পৌরসভা কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা, সিভিল সার্জন ডা: হাবিবুর রহমান, পৌর মেয়র কাজিউল ইসলাম, প্রেসক্লাব সভাপতি এডভোকেট আহসান হাবীব নীলু প্রমুখ। পরে তারা বিভিন্ন টিকা প্রদান কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।

এ কর্মসূচিতে এর আগে প্রত্যেকটি টিকাদান কেন্দ্রে বিভিন্ন বুথে সকাল থেকে মানুষের স্বত:স্ফুর্তভাবে অংশগ্রহণে রেজিষ্ট্রেশন কার্যক্রম চলে। তবে কেন্দ্র গুলোতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে রেজিষ্ট্রেশনকৃত বয়স্ক ব্যক্তি, নারী ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের টিকাদান কর্মসূচি চলতে থাকে। ২৫বছরের কম, দুগ্ধদানকারী মায়েদের ফিরিয়ে দেয়া হয়। সকাল থেকে লম্বা লাইন। টিকা প্রদানের একটি করে বুথ হওয়ায় সময় লাগে অনেক বেশী। ফলে আগতদের দীর্ঘ সময় লাইনে দাড়িয়ে থাকতে হয়।

অপরদিকে কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে ২১টি বুথে ৪২০০ জনসাধারণকে বিনামূল্যে কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

সিভিল সার্জন ডাঃ হাবিবুর রহমান জানান, জেলার তিনটি পৌরসভাসহ ৯ উপজেলার ৭৩টি ইউনিয়নে একযোগে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। একদিনে মোট ৪৬ হাজার ৮শত টিকা প্রদান করার টার্গেট নেয়া হয়েছে। ছোট ছোট কিছু ক্রটি হচ্ছে তা নজরে আসামাত্রই সমাধান করা হচ্ছে। যাদের রেজিস্ট্রেশন করা আছে তাদের পরবর্তীতে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে হাসপাতালে টিকা দেয়া হবে। কাজেই হতাশার কিছু নেই। সবাইকে টিকা প্রদান কর্মসুচির আওতায় আনা হবে।
এছাড়াও চরের ও দ্বীপচরের দুর্গম চরাঞ্চলেও এ টিকাদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

(পিএস/এসপি/আগস্ট ০৭, ২০২১)