উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপিয়ে ৫ হাজার টাকা আদায় !
![](https://www.u71news.com/article_images/2021/08/08/satkhira-u71news.jpg)
রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : ঠিকানা ও বাপের নাম আলাদা হওয়ার পরও কামরুল ইসলাম নামের এক দিনমজুরকে আটক করে পাঁচ হাজার টাকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সাতক্ষীরার আশাশুনি থানার উপপরিদর্শক কবিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
রবিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তাকে আশাশুনি উপজেলার তালতলা বাজার থেকে আটক করা হয়।
প্রতাপনগর ইউনিয়নের কুড়িকাহনিয়া গ্রামের নূর ইসলাম মোড়লের ছেলে নুরুজ্জামান মোড়ল জানান, বরিশাল কোতোয়ালি থানার একটি ভাটার টাকা প্রতারণা মামলায় (সিআর-১০৫৪/১৯ ) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল সুভদ্রকাটি গ্রামের কামরুল ইসলামের।
রবিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তার ভাই কামরুল ইসলাম তালতলা বাজারে দাঁড়িয়েছিল। এ সময় আশাশুনি থানার উপপরিদর্শক কবীরুল ইসলাম তার ভাইকে সুভদ্রকাটির কামরুল হিসেবে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আসামী বলে মোটর সাইকেলে করে তুলে নিয়ে গোরালী বাজারে নিয়ে যান।এ পরে কামরুল ইসলামকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য মোবাইল ফোনে তার কাছে পাঁচ হাজার টাকা চাওয়া হয়। টাকা না দিলে তাকে যে কোন মামলায় চালান দেওয়ার কথা বলা হয়।
বাধ্য হয়ে তিনি পুলিশের সোর্স আব্দুল খালেক, নাহিদ হোসেন, ইউসুফ ও অলিকে সঙ্গে নিয়ে বিকেল সাড়ে ৬টার দিকে গোরালী বাজারের পার্শ্ববর্তী কালভাটের পাশে যান। সেখানে অবস্থানরত উপপরিদর্শক কবিরুল ইসলামের হাতে তিনটি এক হাজার টাকার নোট ও চারটি ৫০০ টাকার নোট দিয়ে ভাই কামরুলকে মুক্ত করেন।
বিকেল সাড়ে ৫টায় তালতলা বাজারে অবস্থানকারি মোয়াজ্জেম মহালদার ও শরিফুল ইসলাম বলেন, সুভদ্রকাটি গ্রামের কামরুল ও কুড়িকাহনিয়ার কামরুল এক নয় বললেও উপপরিদর্শক কবিরুল ইসলাম তাদের পাড়ার কামরুলকে ধরে নিয়ে যান।
এ ব্যাপারে রোববার রাত ৯টায় উপপরিদর্শক কবিরুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি খাজরায় আছেন উল্লেখ করে বলেন, কামরুলকে আটক করা ও তাকে ছাড়ানোর জন্য পাঁচ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ সঠিক নয়।
এ ব্যাপারে আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম কবীরের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলতে চাইলে তিনি সংযোগ বিচ্ছ্ন্নি করেে দেন।
(আরকে/এসপি/আগস্ট ০৮, ২০২১)