শাহ্ আলম শাহী, দিনাজপুর : কোরবানীর ঈদে কেনা গরু ছাগলের (পশুর) চামড়া বিক্রি করতে না পারায় আর্থিকভাবে লোকসানের বোঝা মাথায় চেপেছে দিনাজপুরের চামড়া ব্যবসায়ীদের। পাশাপাশি জাতীয় ওই সম্পদ পোচন ধরে নষ্টের আশংঙ্কায় করছেন তারা। গেল ৫ বছরের ট্যনারি মালিকরা প্রায় ১০ কোটি টাকা বকেয়া পরিশোধ না করায় উৎকন্ঠা উদ্বেগে কাটছে তাদের প্রতিটি মুহুর্ত। 

চলতি মোওসুমের চামড়া বিক্রির ব্যবস্থা গ্রহনের পাশাপাশি আগের বকেয়া পরিশোধে সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে দিনাজপুর প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে দাবি জানিয়েছেন চামড়া ব্যবসায়ীরা।

চলতি মোওসুমে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ হাজার গরুর এবং ২০ হাজার পিস ছাগলের চামড়া মজুদ পড়ে আছে তাদের গোডাউনে।

দিনাজপুরের চামড়া ব্যবসায়ী মালিক গ্রুপের সভাপতি জুলফিকার আলী স্বপন জানান, সরকারের কাছে সুবিধা নিলেও গেল ৫ বছরে ১০ কোটি টাকা বকেয়া পরিশোধ করেননি ট্যানারি মালিকরা। চলতি ঈদুল আজহায় ক্রয় করা প্রায় ৭০ থেকে ৮০ হা্জার গরুর এবং ২০ হাজার ছাগলের লবনজাত চামড়া ট্যানারি মালিকরা না কেনায় গোডাউনে মজুদ রাখতে বাধ্য হয়েছেন তারা। ওই চামড়া বেশীদিন রাখলে পচন ধরে নষ্টের আশংঙ্কা করছেন তারা। অন্যদিকে ছোট সাইজের ছাগলের চামড়া না কেনায় ফেলে দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

সরকারিভাবে নির্ধারিত দরে কেনা এবং লবনজাত মুজুরিসহ কারনে বাছাই করা প্রতিটি গুরুর চামড়ায় দাম পড়েছে প্রায় ৯শত টাকা করে। কিন্তু এবার চামড়া কিনছেননা ট্যানারি মালিকরা।

ব্যবসায়ীদের লোকসান ঠোকাতে সংশ্লিষ্টরা ব্যবস্থা নেবেন এমনটাই আশা করছেন তারা। এসময় উপস্থিত ছিলেন গ্রুপের সাধারন সম্পাদক আবুল খায়ের, সাবেক সভাপতি আক্তার হোসেন, এবং মজিবর রহমানসহ অন্যান্যরা।

(এস/এসপি/আগস্ট ১২, ২০২১)