তপু ঘোষাল, সাভার : ঢাকা জেলার সাভার উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম রাজীব জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হারানোর শোককে শক্তিতে পরিণত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। একইসঙ্গে নিজেদের চাওয়া-পাওয়া ভুলে দল মত নির্বিশেষে জাতির জনকের আদর্শে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার (১৩ আগস্ট) বিকালে ১৫ আগস্টের বর্বরতা তুলে ধরে একান্ত সাক্ষাৎকারকালে এসব কথা বলেন তিনি।

সাভার উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন, আজকে আমাদের যে পরিচয় সেটি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্য। আজকের আমাদের যে মানচিত্র সেটি বঙ্গবন্ধুর জন্যে। আমাদের সকল কর্মকাণ্ডে যেনো বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থাকে। দেশকে এগিয়ে নিতে হলে আমাদেরকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হারানোর শোককে শক্তিতে পরিণত করতে হবে। তাহলে বঙ্গবন্ধুর বিদেহী আত্মা শান্তি পাবে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িতে সেনাবাহিনীর বিপথগামী একটি দল হানা দেয়। এ সময় তারা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ বাড়িতে থাকা পরিবারের সবাইকে একে একে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধুর শিশুপুত্র শেখ রাসেলও সেদিন ঘাতকের হাত থেকে রেহাই পায়নি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে দেশরত্ন শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানা দেশের বাইরে থাকায় সেদিন তারা প্রাণে বেঁচে যান।

রাজীব বলেন, এমন ভয়াবহ হত্যার ঘটনা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। হত্যাকারীদের বিচার থেকে রেহাই দিয়ে জারি করা হয় কুখ্যাত ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ। সেই অধ্যাদেশ বাতিলের পর দেরিতে হলেও বিচারকাজ সম্পন্ন হয়েছে। কয়েকজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে। অন্যরা পালিয়ে বেড়াচ্ছে বিভিন্ন দেশে। আমি চাই, পলাতক খুনিদের দেশে এনে তাদের শাস্তি কার্যকর করা হোক।

রাজীব আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকে দৈহিকভাবে হত্যা করা হলেও তার মৃত্যু নেই। তিনি চিরঞ্জীব। কেননা একটি জাতিরাষ্ট্রের স্বপ্নদ্রষ্টা এবং স্থপতি তিনিই। যতদিন এ রাষ্ট্র থাকবে, ততদিন অমর তিনি। বঙ্গবন্ধু কেবল একজন ব্যক্তি নন, এক মহান আদর্শের নাম। যে আদর্শে উজ্জীবিত হয়েছিল গোটা দেশ। বাঙালি জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র আর ধর্মনিরপেক্ষ দর্শনে দেশের সংবিধানও প্রণয়ন করেছিলেন স্বাধীনতার স্থপতি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। শোষক আর শোষিতে বিভক্ত সেদিনের বিশ্ববাস্তবতায় বঙ্গবন্ধু ছিলেন শোষিতের পক্ষে।

(টিজি/এসপি/আগস্ট ১৫, ২০২১)