স্টাফ রিপোর্টার : এক ব্যক্তি, এক পদ এমন নীতি পরিহার করে সাংগঠনিক রদবদলে তৃণমূল ভেঙে তছনছ করে চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে দক্ষিণ জেলা বিএনপি ঘোষণা করল এক জনবিছিন্ন আহ্বায়ক কমিটি!

গত রোববার করা ৫১ সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটিতে এসএম মামুন মিয়াকে আহ্বায়ক ও মো. ওসমানকে সদস্যসচিব করে গিয়াস ফারুকী ফয়সালকে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে।

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় অনেকে জানান, এতে অন্তর্দ্বন্দ্বের জেরে দলের সংগঠন থেকে বাদ পড়ছে একাধিক হেভিওয়েট নেতাকর্মী। যারা দলের দুঃসময়ে মাঠে সক্রিয় থেকে কাজ করেছেন। এমনকি কর্ণফুলী উপজেলায় বিএনপির সংগঠনকে ভেঙে আরও ছোট করা হয়েছে। দলে ঠাঁয় দেওয়া হয়েছে একাধিক নতুন মুখকে।

ওদিকে, সদ্য বহিষ্কৃত দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আব্বাসের নেতৃত্বে একটি অংশ অভিযোগ করে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে নিষ্ক্রিয়দের দিয়ে কমিটি করা হয়েছে। যেখানে নানা কারণে বড় পরিসরে দলীয় কর্মকাণ্ড চালানো যাচ্ছে না। এ ছাড়া মামলা সমস্যা তো রয়েছেই। উপজেলায় ত্যাগী বিএনপি নেতাদের প্রায় সবাই কোনো না কোনো মামলার আসামি। তাদের ভাষায় এসব ‘রাজনৈতিক’ মামলায় কিছুদিন পরপরই যেতে হচ্ছে জেলে। জামিন নিয়ে বের হয়ে এসেও মেলে না স্বস্তি। আদালতে হাজিরা দিতে দিতেই চলে যায় দিন। আছে নতুন নতুন মামলায় আসামি হওয়ার আতঙ্কও। এমনি পরিস্থিতিতে কমিটি দিয়ে তাঁরা কি বুঝাতে চায় বুঝি না।

যদিও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব মোস্তাক আহমেদ খান এ আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দেন।

বাকি সদস্যরা হলেন-কর্ণফুলী উপজেলা বিএনপি নেতা এইচএম হারুনুর রশিদ, অ্যাডভোকেট ওসমান, আবু তৈয়ব কন্ট্রাক্টর, আবদুল গফুর, মোহাম্মদ হোসেন বাবুল, ইদ্রিস হায়দার নয়ন, আবু তাহের, আবদুল কাদের, মো. সালেহ জহুর, শেখ আহমেদ মেম্বার, মোহাম্মদ আলী দানু, মো. সোলোয়মান, মাঈনু উদ্দিন টিপু, এসএম ফারুখ হোসেন, মো. আলমগীর, নুরুল হক, সাজু মেম্বার, মো. হাসান, মনির উদ্দিন মুন্সি, মো. সেলিম, জিএম জসিম উদ্দিন, শামীমা আক্তার, মো. নুরুল ইসলাম, মো. ফারুখ, মো. দিদার, মো. সালা উদ্দিন, মো. ওয়াসিম, আবদু রহমান, শেখ আহমদ শাকিল, মো.ফারুক, মো. আলী আকবর, মামুনুর রশিদ মামুন, জসিম উদ্দিন জুয়েল প্রমুখ।

(জেজে/এসপি/আগস্ট ১৭, ২০২১)