স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশে একটি গতিশীল‍ ওষুধ শিল্প গড়ে উঠেছে। এতে ওষুধের মোট চাহিদার ৯৭ শতাংশই দেশীয় উৎপাদন থেকে মেটানো হচ্ছে বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার রাজধানীর সোনাগাঁও হোটেলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের ৩২তম সভা এবং আঞ্চলিক কমিটির ৬৭তম বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী জানান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের ৮৭টি দেশে আমাদের দেশ থেকে ওষুধ রপ্তানি হচ্ছে।

সারা দেশজুড়ে একটি ব্যাপক-ভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবা নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, গ্রামাঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্য সেবায় বর্তমানে ১৩ হাজারের বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু রয়েছে। এসব ক্লিনিকে প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্য কর্মী নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তাদের ল্যাপটপ ও ইন্টারনেট সংযোগ দেয়া হয়েছে। রোগীদের বিনামূল্যে ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। পাশাপশি ই-হেলথ ও টেলিমেডিসিন সেবা ব্যবস্থাও চালু করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের সব পর্যায়ে হাসপাতালে শয্যা বৃদ্ধি ও আধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপন এবং নতুন জেনারেল ও বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণ করা হয়েছে।

এ ছাড়া নতুন মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজ, হেলথ টেকনোলজি ইনস্টিটিউট, নার্সিং কলেজ এবং নার্সিং ট্রেনিং ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশে পোলিও ও কুষ্ঠ রোগমুক্ত উল্লেখ করে তিনি জানান, সরকার এখন ম্যালেরিয়া, যক্ষা, এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা, অ্যানথ্রাক্স, নিপাহ, ডেঙ্গু ইত্যাদি সংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।

তিনি জানান, একই সাথে অসংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ, পুষ্টি, অটিজম ও মানসিক স্বাস্থ্য কার্যক্রমকে মূলধারায় সম্পৃক্ত করা হয়েছে। প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা ও কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোকেও এর সঙ্গে সম্পৃক্ত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং এর ঝুঁকি মোকাবেলায় কার্যকর স্বাস্থ্য ও সামাজিক সচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য খাতে অগ্রগতির স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১১ সালে বাংলাদেশ সাউথ সাউথ অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি জানান, নিম্ন আয়ের জনগণের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। ফলে দারিদ্র্যের হার ২০০৫ সালের ৪০ শতাংশ থেকে ২৫ শতাংশে নেমে এসেছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। এতে আরও বক্তব্য- রাখেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক মার্গারেট চ্যান, ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক প্রতিনিধি পুনম ক্ষেত্রপাল সিং।

>>স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের সম্মেলন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

(ওএস/এটিআর/সেপ্টেম্বর ০৯, ২০১৪)