সঞ্জীব কুমার দাস, কাপাসিয়া (গাজীপুর) : জাতীয় ফল কাঠাল, এ কাঠালে রয়েছে অনেক উপকারীতা এ কাঠাল ম্যেসুমী ফল হিসাবে আমাদের দেশে খুবই পরিচিত । এ কাঠাল বিদেশে রপ্তানি করা হয়ে থাকে। বৈজ্ঞানিকরা বলেছে কাঠালের একটি কোষ শরীরে ৬ মাসের অধিক স্থায়িত্ব থাকে। এ বছর কাঠালের দাম কম থাকলেও শেষ মৌসুমে কাঠালের দাম এখন চড়া। দাম বেশী পেয়ে কাঠাল বিক্রতার বেজায় খুশী।

গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলায় মৌসুমী ফলের ব্যাপক চাষাবাদ হয়ে থাকে। প্রতিবাড়ীতে এক বা একা অধিক গাছ রোপন করে থাকে সাধারণ মানুষ। এবার কাঠালের ফল কম হওয়ার কারনে বেশ চড়া দামে কাঠাল বেচাকেনা হয়েছে। উপজেলার ১১ ইউনিয়নে কাঠাল গাছের ব্যাপক ফলন হয়ে থাকে। বছরের এর চাহিদা তুলনায় ফলন কম হলেও এর চাহিদার কমতি নেই। কাপাসিয়ার কাঠালের চাহিদা সবচেয়ে বেশী নোয়াখালী এলাকায়।

কাপাসিয়া উপজেলার অর্ধশত বাজারে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকার এসে কাঠাল কিনে বিভিন্ন এলাকার সরবরাহ করে থাকে। উপজেলার আমরাইদ. বড়হড়, তরগাও, রায়েদ, সিংহশ্রী,ঠোকনয়ন বাজার, ঘাগটিয়ার চালা বাজার, আড়াল বাজার,কাপাসিয়া সদর, রানীগঞ্জ, চাদপুর ,ঘাটকুড়ি বাজারে ব্যাপক পরিমানে কাঠাল বেচাকেনা হয়ে থাকে। প্রতিদিন এসব বাজার থেকে কয়েক শত ট্রাক দিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় কাঠাল পাঠানো হয়ে থাকে। আবদুল মান্নান মৃধা নামে একজন পাইকার জানান, এ সব কাঠাল বিদেশে রপ্তনী হয়ে থাকে।

সিঙ্গাপুর, আমেরিকা, ইটালী সহ বিশ্বের অনেক দেশে কাঠাল আমরা পাঠাই। বর্তমানে কাঠালের চাহিদা ব্যাপক হওয়ার চড়া দামে কাঠাল কিনতে হচ্ছে। এতে বিক্রেতারও েিশী দাম পেয়ে বেজায় খুশী।

আবদুর রহমান নামে এক কাঠাল বিক্রেতা জানান, এ বছর তার বাগানে কাঠাল কম হয়েছে তার পরও সে ২০ হাজার টাকার অধিক কাঠাল বিক্রি করেছে ।

তবে তিনি বলেন, কাঠাল যদি প্রকৃয়াকরনের মাধ্যেমে সারা বছর রাখা যেত তবে সারা বছরই কাঠালের চাহিদা থাকত এবং দাম ও ভাল পাওয়া যেত।

(এসকেডি/এসপি/আগস্ট ১৮, ২০২১)