বরগুনা প্রতিনিধি : খুলনার ডিবি পুলিশের পরিচয়ে ও লবনচোরা থানার পুলিশের চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে গত সোমবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বিএফডিসির ব্যবসায়ীরা। এর আগে পাথরঘাটা বিএফডিসির মৎস্য আড়তদার, পাইকার সমিতি ও ব্যবসায়ীরা বিষয়টি সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত মাছ বিক্রি, সরবরাহ বন্ধ বিএফডিসির ব্যবস্থাপক লে.কমান্ডার সোলায়মান শেখকে অবরুদ্ধ করাসহ অনির্দিষ্টকালের জন্য এ ধর্মঘটের ডাক দেয় তারা।

জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানান, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে (বিএফডিসি) থেকে প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার মাছ চালান হয়ে থাকে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ও পার্শ্ববর্তী ভারতে। প্রায় সময় ডিবি পুলিশ, টহল পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় রাতে মাছবাহি ট্র্যাক থেকে চাঁদা নিয়ে থাকে।

বিএফডিসি মৎস্য পাইকার সমিতির সভাপতি সাফায়েত হোসেন মুন্সি জানান, বিএফডিসি ব্যবস্থাপকের ছাড়পত্র এবং সকল বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্বেও খুলনার লবনচোরা এলাকা থেকে সোমবার রাত ৩টার দিকে ডিবি পুলিশের এসআই কাওছার ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করলে দিতে না পারায় ৩টি ট্র্যাকের মধ্যে একটি মাছ বোঝাই ট্র্যাক ঢাকা মেট্টো ট-১১-৭৪৬৮ আটক করে রাখে।

এর আগে লবনচোরা থানার অপর এক পুলিশের এসআই বাহাউদ্দিন ঢাকা মেট্টো ট- ৬৭৭৪ থেকে সাড়ে ৯হাজার, খুলনা মেট্টো ন- ১১-০৩৩৯ থেকে ৮০ হাজার টাকার ৪ ককসিড ইলিশ মাছ ও ঢাকা মেট্টো ন-১৬-৯৭৭১ থেকে নগদ ৩৫ হাজার, ঢাকা মেট্টো ট-১১-৯৫৯২ থেকে ৬ হাজার টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয়। পরে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সমন্বয়ে আটককৃত ট্র্যাকটি ছেড়ে দিলে ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেয় ব্যবসায়ীরা।

বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের পাথরঘাটার ব্যবস্থাপক লে. কমান্ডার সোলায়মান শেখ সাংবাদিকদের বলেন, ‘বৈধভাবে ছাড়পত্র দেয়া সত্বেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে চাঁদাবাজি করাটা দুঃখজনক। বিষয়টি আমরা ক্ষতিয়ে দেখছি।’

(এমএইচ/এএস/সেপ্টেম্বর ০৯, ২০১৪)