ইমারন হোসাইন, সিরাজগঞ্জ : সিরাজগঞ্জে দু-মহল্লাবাসির সংঘর্ষে যুবক নিহত হওয়ার ঘটনায় হত্যাকারিদের গ্রেফতার ও ফাসির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে এলাকাবাসী ও নিহতের স্বজনেরা। এ সময় বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী একটি শপিংমল ভাংচুর করে। এতে আবারো সংঘর্ষ বাধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা বারটার দিকে সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার মুজিব সড়কে এই মানববন্ধন, ভাংচুর ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

সিরাজগঞ্জ সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম মোস্তফা জানান, সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার দিয়ারধানগড়া ও ভাংগাবাড়ি মহল্লাবাসির সংঘর্ষে এক যুবক নিহত হবার ঘটনায় বৃহস্পতিবার বেলা বারটার দিকে শহরের মুজিব সড়কে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করতে একত্রিত হয় নিহতের স্বজন ও ভাংগাবাড়ি গ্রামবাসী। মানববন্ধন চলাকালে হঠাৎই পৌর মেয়র সৈয়দ আব্দুর রউফ মুক্তা সিরাজীর মালিকানাধিন শপিং মল মুক্তা প্লাজা ভাংচুর শুরু করে মানববন্ধনকারিরা।

এসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ ও দিয়ারধানগড়ার জনসাধারন বাধা দিলে আবারো সংঘর্ষ বাধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এসময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপে অন্তত ১০ জন আহত হয়। আহতদের বিভিন্ন ক্লিনিক ও হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

এদিকে দু-মহল্লাবাসীর সংঘর্ষে এক যুবক নিহত হওয়ার ঘটনায় ২৯ জনের নাম উল্লেখ করে ও অন্তত ৪০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার গভীর রাতে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। নিহতের মা নাসরিন বেগম বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। সিরাজগঞ্জ সদর থানার মামলা নং-৩৪/১৮.০৮.২১। আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান চলছে।

উল্লেখ্য, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার রাত থেকে সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার দিয়ারধানগড়া ও ভাঙ্গাবাড়ি মহল্লাবাসির মধ্যে শুরু হওয়া সংঘর্ষের জের ধরে থানা রোড এলাকায় বুধবার সকালেও সংঘর্ষ বাধে। এ সময় উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্র ও ইটপাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে প্রতিপক্ষের ফালার আঘাতে সাজ্জাদ হোসেনসহ অন্তত ১১ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে সাজ্জাদ হোসেনকে সিরাজগঞ্জ বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধিন অবস্থায় দুপুরে সে মারা যায়।

(আই/এসপি/আগস্ট ১৯, ২০২১)