বরগুনা প্রতিনিধি : রবিবার গভীর রাতে বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন নিদ্রা-সকিনার প্রায় ১০০ কিলোমিটার দক্ষিনে পক্ষিদিয়ার চর সংলগ্ন এলাকায় দুটি ট্রলারে ডাকাতি সংগঠিত হওয়ার পরে তালতলী বাজার থেকে সোমবার রাতে ওই ডাকাত দলের ৫ সদস্যকে আটক করেছে স্থানীয় জনতা ।

আটককৃত জলদস্যুদের জনতারা গনধোলাই দিয়ে তালতলী থানায় সোপর্দ করেছে। আটককৃতরা হল পাথরঘাটা উপজেলার হাড়িটানা গ্রামের মো. হানিফ(২৬), কলাপাড়া উপজেলার কুয়াকাটা গ্রামের আল-আমীন মাঝি(২৭), বরগুনা সদর উপজেলার চরমাইঠা গ্রামের রাসেল পহলান (২৮), মিরাজ পহলান (২১) ও পলাশ পহলান (২৮)। এই ডাকাতির ঘটনায় জেলে জালাল হাওলাদার বাদী হয়ে মঙ্গলবার দুপুরে তালতলী থানায় একটি ডাকাতি মামলা দায়ের করেছেন।

ডাকাতির কবল থেকে ফিরে আসা আহত জেলেরা জানিয়েছে, রবিবার গভীর রাতে তালতলীর বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন নিদ্রা-সকিনার প্রায় ১০০ কিলোমিটার দক্ষিনে পক্ষিদিয়ার চর সংলগ্ন গাছ গেরাফির বাইরে জেলেরা মাছ ধরার সময় উপজেলার তেতুলবাড়ীয়া এলাকার ফোরকান প্যাদা ও জালাল হাওলাদারের ২টি ট্রলারে ডাকাতি হয়। এসময় ডাকাতরা জেলেদেরকে হাতুরী ও দেশীয় রামদা দিয়ে পিটিয়ে আহত করে তাদের কাছ থেকে মাছ, জাল, দড়ি, জালানি তেল ও সাথে থাকা মোবাইল জলদস্যুরা নিয়ে যায়। আলো জালিয়ে ডাকাতি করায় জেলেরা অনেক জলদস্যুকে চিনতে পেরে।

ডাকাতি করে যাওয়ার পর ভোর রাতে গভীর বঙ্গোপসাগরে হঠাৎ ঝড় উঠলে ডাকাতদের ট্রলার ডুবে যায়। ঝড় শেষে সকিনা এলাকার রাজা মিয়ার ট্রলার কিনারে আসার সময় সাগরে ডাকাতদের ভাসতে দেখে জেলে মনে করে তাদের উদ্ধার করে তীরে নিয়ে আসে। ডাকাতরা জেলে পরিচয় দিলে পরনে কাপড় ও জামা-গেঞ্জি দিয়ে উদ্ধারকারীরা তাদেরকে নিজ বাড়ীতে যাওয়ার উদ্যেশ্যে পাঠিয়ে দেয়। ডাকাতরা নিজ বাড়ী যাওয়ার সম্বল না থাকায় তালতলী এসে দোকানে-দোকানে সাহায্য প্রার্থনা করে।

এসময় ডাকাতির শিকার হওয়া আহত জেলে মো. নাজমুল (২৫), জালাল হাওলাদার (৩০), লোকমান হোসেন(২৬) ও আল-আমীন(২২) চিকিৎসার জন্য তালতলীতে আসলে সাহায্যের প্রার্থনাকারী অবস্থায় ডাকাতদের দেখে চিনে ফেলে স্থানীয় জনতা নিয়ে তাদেরকে আটক করে থানায় সোপর্দ করে।

এব্যাপারে তালতলী থানার অফিসার ইন চার্জ মো. মিজানুর রহমান বলেন, জনতারা ওই ৫ ডাকাতকে গনধোলাই দিলে আমরা তাদেরকে জনতার হাতথেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি। পরে জেলেরা মামলা করলে এই ৫জনকে বরগুনা কোর্টে পাঠিয়ে দিয়েছি।

(এমএইচ/এএস/সেপ্টেম্বর ০৯, ২০১৪)