কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মিঠাগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রলীর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম(২২) হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার চার আসামীকে তিনদিনের রিমান্ড শেষে রবিবার তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। 

গত বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার রুবেল সিকদার, নয়ন বয়াতী, খলিল ও নোমানকে তিনদিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।

গত ২৮ জুলাই রাত সাড়ে ৯টার সময় রাকিবুল ইসলাম কলাপাড়া উপজেলার মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের তেগাছিয়া বাজার থেকে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে আজিমুদ্দিন গ্রামের স্লুইস এলাকায় মিঠাগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলাম ও তার ভাই সাইফুল ইসলাম রায়হানের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন। সন্ত্রাসীরা রাকিবুলকে কুপিয়ে আহত করে ডান হাত একটি কাঠের ওপর রেখে রামদা দিয়ে কুপিয়ে কবজি থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়। তা ছাড়া ডান হাতের কনুই পিটিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়।

এ ঘটনার পর স্থানীয়রা রাকিবুলকে উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে নিয়ে যায়। ওই রাতেই তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেখান থেকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে নেওয়া হয়। গত ৭ আগস্ট বেলা ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।

এ ঘটনার পর রাকিবুলের মা রাহিমা বেগম বাদি হয়ে গত ২৯ জুলাই রাতে কলাপাড়া থানায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৭-৮জন অজ্ঞাতনামা আসামী রয়েছে। মিঠাগঞ্জ ইউনিয়ন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. তরিকুল ইসলামকে মামলায় প্রধান আসামী করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২৯ জুলাই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ তরিকুল ইসলামকে সংগঠন থেকে বহিস্কার করেছে।

রাকিবুল মৃত্যুর ১৫দিন অতিবাহিত হলেও মামলার প্রধান আসামী মিঠাগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের বহিস্কৃত সভাপতি তরিকুল ইসলাম ও তার ভাইকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

রাকিবুল হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তার নিজ এলাকা তেগাছিয়া বাজার ও কলাপাড়ায় বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্দন করে ছাত্রলীগ, যু্বলীগ, আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা। কিন্তু পুলিশ বলছে তারা পলাতক, তাদের গ্রেপ্তারে সর্বোচ্চ চেস্টা চলছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কলাপাড়া থানার ওসি(তদন্ত) আসাদুর রহমান জানান, ইতিমধ্যে ঘটনার পরিকল্পনাকারী রুবেলসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে হামলার কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র। গ্রেপ্তারকৃতরা রিমান্ডে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছেন যা তদন্তের স্বার্থে বলা সম্ভব না। মামলার প্রধান আসামী তরিকুলসহ অন্য আসামীদের গ্রেপ্তার করতে পারলে এ হত্যাকান্ডের মূল কারন বের করতে পারবেন বলে আশা করছেন। পলাতক সকল আসামীকে গ্রেপ্তার করতে তাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

(মকে/এসপি/আগস্ট ২২, ২০২১)