রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : রবিবার (২২আগষ্ট) উজানের ঢলে কুড়িগ্রামে ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে সেতু পয়েন্টে বিপদসীমার ৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধির ফলে প্লাবিত হয়ে পড়েছে ধরলা অববাহিকায় নিম্নাঞ্চলগুলো। তলিয়ে গেছে এসব এলাকার রোপা আমন ক্ষেতসহ বিভিন্ন সবজি ক্ষেত। 

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের বাসিন্দা আফসার আলী জানান, ভরা বর্ষা মৌসমে বন্যা না হওয়ায় জমিতে আমন লাগিয়েছি। সেই আমন পানির নীচে। শেষ সময়ে এসে হঠাৎ করে ধরলার পানি বাড়ল। এই পানি যদি দু’একদিনের মধ্যে নেমে যায়তো সমস্যা হবে না। আর যদি পানি আরো বেড়ে যায় তাহলে আমন চারা নষ্ট হয়ে যাবে।
অন্যদিকে জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমারসহ সবগুলো নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও গত ২৪ ঘন্টায় তা স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে।

এদিকে নদ-নদীর পানি বাড়ার সাথে সাথে তিস্তা, ধরলা, ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমার নদীর বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। কবলিত এলাকাগুলোতে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙ্গন ঠেকানোর চেষ্টা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, রোববার (২২আগষ্ট) কুড়িগ্রামে সেতু পয়েন্টে ধরলার পানি বিপদসীমার ৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ৩০ সেন্টিমিটার, নুনখাওয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৮৭ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও তিস্তার পানি কাউনিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ২৯ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আরিফুল ইসলাম জানান, ধরলার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তায় পানি হ্রাস পেতে শুরু করেছে। আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ধরলার পানিও কমতে শুরু করবে বলে জানান তিনি। পানি বাড়া-কমার সাথে ঝুঁকিপুর্ণ এলাকাগুলোতে জিও ব্যাগ ও জিও টিউব ফেলানো হচ্ছে বলে জানান তিনি।

(পিএস/এসপি/আগস্ট ২২, ২০২১)