নীলফামারী প্রতনিধি : নীলফামারী সদর উপজলোর সোনারায় ইউনয়িনের হাজীপাড়ার দরোয়ানী রেলস্টেশন বাজার সংলগ্ন জনবহুল বসতিতে তিন রাস্তার মোড় শহীদুল বাউড়ার বাড়ীর সামনে আব্দুল প্যাটলার ছেলে মতিয়ার কালার লোকজন দীর্ঘ দিন ধরে পাকা রাস্তায় বাঁশের বেড়া ও মাটি ফেলে মানুষের চলাচলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে আসছে । 

আন্দোলনরত এলাকাবাসী জানান, সোনারায় ইউনয়িনরে পাঁচটি গ্রাম (শাটিপাড়া শানপাড়া, হাজীপাড়া, অফজা পাড়া, পশ্চিম পাড়ার একাংশ) এর প্রায় ১৫০০ থেকে ২০০০ মানুষরে চলাচলে বাঁধার সৃষ্টি করে আসছে এবং জলাবদ্ধতার কারণে পাকা রাস্তার বিটুমিন উঠে যাওয়াসহ রাস্তায় রাষ্ট্রীয় সম্পদ এবং জনগণরে জানমালরে অপূরণীয় ক্ষতি হচ্ছে ।

স্থানীয় জুগনু বগেম বলনে, তার অসুস্থ স্বামীকে নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার সময় জলাবদ্ধ রাস্তায় পরে গিয়ে কোমরে চোট পেয়েছেন । যার কারনে তিনি এখন ঠিকমতো হাঁটাচলা করতে পারছেন না।

কলেজ ছাত্রী মনি আক্তার বলনে, আমরা এই এলাকায় অনকে ছাত্র-ছাত্রী আছি আমাদের স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন স্থানে যেতে হয়। রাস্তা বন্ধ ও জলাবদ্ধতার কারনে অনেক দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ।

দারোয়ানী রেলস্টেশন এলাকার বাসিন্দা স্বপন মিয়া জানান, মতিয়ার গংরা এভাবে দীর্ঘ ৩ বছর ধরে প্রাকৃতিক পানি নিষ্কাশনের জলধারা বন্ধ করে প্রকৃতি, মানুষ ও দশের সম্পদ তথা দেশবিরোধী কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়ে সীমাহীন অপরাধ করে যাচ্ছ। উক্ত পাঁচ গ্রামের মানুষ আজ অসহায়। এক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি ।

নীলফামারী সদর উপজলোর সোনারায় ইউনয়িনরে চেয়াররম্যান গোলাম মোস্তফা বলেন, আমি উভয় পক্ষের লোকজনকে নিয়ে আলাপ-আলোচনা করার জন্য এক জায়গায় বসার প্রস্তাব দিয়েছি । যাতে করে আপোষে সমস্যার সমাধান যায়।

নীলফামারী সদর উপজলো নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন নাহার জানান, আমাকে এলাকাবাসী গণস্বাক্ষরসহ একটি দরখাস্ত দিয়েছেন। আমি দরখাস্ত দেখে আমার এসি ল্যান্ডকে দ্বায়িত্ব দিয়েছি । সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।

(কে/এসপি/আগস্ট ২৪, ২০২১)