শাহ্ আলম শাহী, দিনাজপুর : দিনাজপুরে মা-ছেলে অপহরণ এবং মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় আটক সিআইডি এএসপি সারোয়ার কবীর সহ ৪ জনকে বুধবার কারাগারে পাঠানো হলেও  সোর্স সফিউল আলম পলাশকে জিজ্ঞাসাবাদের পর  আজ বৃহস্পতিবার আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এদিকে চাঞ্চল্যকর ঘটনার এই মামলাটি গত বুধবার রাতেই ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

দিনাজপুরে ফিল্মি স্টাইলে মা ও ছেলেকে অপহরণের পর ১৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় আটক সিআইডি পুলিশর এএসপি সারায়ার কবীর, এএসআই হাসিনুর রহমান ও কনেস্টবল আহসান উল ফারুক ও মাইক্রো চালক হাবিব মিয়াকে বুধবার বিকেলে কারাগারে পাঠানো হয়। সোর্স সফিউল আলম পলাশকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে জিম্মায় নেয় ডিবি পুলিশ।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে কঠোর নিরাপত্তায় দিনাজপুর চিফ জুডিসিয়াল আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি শেষে কারাগারে পাঠানো হয় সোর্স সফিউল আলম পলাশকে।

দিনাজপুর পুলিশ সুপার মাহাম্মদ আনোয়ার হাসন পিপিএম এবং বিপিএম (বার) এ বিষয় সাংবাদিকর কাছে এখনো মুখ খুলছে না।

স্থানীয় সূত্র জানায়, রংপুর সিআইডির কাছে সোর্স পলাশ নাম চিরিরবন্দর উপজলার আব্দুলপুর ইউনিয়নর নান্দারাই গ্রামের গাদুশা পাড়ার লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধ ৫০ লাখ টাকার প্রতারণার অভিযাগ আনে। এ অভিযাগের প্রেক্ষিতে গত ২৩ আগস্ট সোমবার দিবাগত রাত সাড় ৯ টায় সিআইডির সহকারি পুলিশ সুপার মাঃ সারোয়ার কবির সোহাগ, এএসআই হাসিনুর রহমান ও কনষ্টবল আহসান উল ফারুক, সোর্স সফিউল আলম পলাশ ও মাইক্রো চালক হাবিব মিয়া উক্ত লুৎফরের বাড়িতে যায়। তাকে না পেয়ে তার স্ত্রী ও ছেলেক কালা মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে যায়।

(এসএএস/এএস/আগস্ট ২৬, ২০২১)