রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি : ভূমি ও গৃহহীনদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাড়ি স্বচ্ছলদের নামে তালিকা করা হয়েছে। এমন লিখিত অভিযোগ হয়েছে ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বরাবরে। অভিযোগটি করেছেন উপজেলার নন্দুয়ার ইউপির বনগাঁও গ্রামের বাসিন্দা দবিরুল ইসলামের ছেলে জাকিরুল ইসলাম।

গত ৮ আগষ্টে দাখিল করা অভিযোগ জাকিরুল উল্লেখ্য করেন,তিনি একজন ভুমিহীন অন্যের জমিতে আপাতত ৬ সদস্যের পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন। তার নিজ এলাকা বনগাঁও রাণীদিঘীতে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাড়ি নির্মাণ হবে শুনে তিনি স্থানীয় সংরক্ষিত আসনের ইউপি সদস্যের সাথে যোগাযোগ করেন। এবং যথা নিয়মে কাগজপত্র জমা দেন। তবে অজ্ঞাত কারণে তার নাম আশ্রয়ণের বাড়ি বরাদ্দের তালিকায় উঠেনি। বর্তমানে আশ্রয়ন প্রকল্পের বাড়ি নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয়েছে। অনেকে বাড়িতে বসবাস শুরু করেছেন। লিখিত অভিযোগে জাকিরুল ঐ এলাকার স্বচ্ছল প্রকৃতির জায়গা জমি রয়েছে আধাপাকা বাড়ি রয়েছে এমন ব্যক্তিদের নামে আশ্রয়ণের বাড়ি বরাদ্দের তালিকায় নাম উঠেছে এমন অভিযোগ তুলে তাদের নাম উল্লেখ্য করেছেন,তারা হলেন বনগাঁও গ্রামের তোফাজুল তার ছেলে শাহাজাহান,সাহেরুল মানিকের ছেলে জাফরুল কাশেমের ছেলে রুবেল, আজাদ মৃত গিয়াসউদ্দীনের ছেলে বাহারুল, বাহাদুর মৃত আব্দুর রশিদের স্ত্রী মালেকা মাওলানা তফির উদ্দীনের ছেলে সোলায়মান ফজলুলের ছেলে সোহেল এছাড়াও জমসেদ আবুল কালামের ছেলে ইব্রাহিমসহ তার চার ছেলেসহ আরো বেশ কিছু স্বচ্ছল প্রকৃতির মানুষের নামে বাড়ি বরাদ্দের তালিকা প্রনয়ণ করা হয়েছে। জাকিরুল লিখিত অভিযোগের মাধ্যমে এর সরেজমিন তদন্ত সহকারে সে প্রকৃত ভূমিহীন হলে যাচাই বাছাই করে তাকে একটি বাড়ি দেওয়ার আকুল আবেদন জানিয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঐ এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, বাড়িগুলো বরাদ্দ দেওয়ার সময় সামান্যতম যাচাই বাছাই করলে স্বচ্ছল প্রকৃতির ব্যক্তিদের নাম তালিকায় আসতো না। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,সরকার দিয়েছে ভুমিহীনদের বাড়ি। সে বাড়ি যদি স্বচ্ছলদের নামে হয়। তাহলে তো সরকারের মিশন সফল হবে না। অব্যশই সঠিক যাচাই বাছাই করে প্রকৃত ভুমিহীনদের নামে আশ্রয়নের বাড়িগুলো দেওয়া হোক।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সামিয়েল মার্ডি মুঠোফোনে জানান, বনগাঁও রাণীদিঘী এলাকায় ৬৮টি বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে। যা ইতিমধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেছেন। তবে এসিল্যান্ড অফিসের কাগজপত্র জটিলতায় এবং কাগজপত্রে অনুমোদন না আসায় বাড়ীগুলো এখনো বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির মুঠোফোনে বলেন, বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। তালিকা প্রণয়ণে যাচাই বাছাই নিয়ে প্রশ্নের জবাবে বলেন, মুঠোফোনে এত কথা বলা যাবে না আপনি আমার সাথে দেখা করে কথা বলেন, এক পর্যায়ে তিনি রেগে গিয়ে বলেন, আপনি কি আমাকে আর্গুমেন্ট করছেন?

(কেআইএস/এএস/আগস্ট ২৬, ২০২১)