ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে ঈশ্বরদী শহরের বিভিন্ন মোড়ে স্বল্পমূল্যে চাল ও আটা কিনতে মানুষের দীর্ঘ লাইন। বিদ্যমান করেনা পরিস্থিতিতে খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃক পরিচালিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত স্বল্পমূল্যে খোলা বাজারে বিক্রির ওএমএসের চাল-আটা পেতে নিম্নআয়ের মানুষের মধ্যে তৈরি হয়েছে হাহাকার। স্বল্পমূল্যের এই চাল-আটা কিনতে লাইনগুলোয় ভিড় করেছে শিশু, কিশোর, নারী ও বৃদ্ধ মানুষের। দীর্ঘ সময় লাইনে দাড়িয়ে থেকেও স্বল্পমূল্যে চাল আটা কিনতে না পেরে অনেকেই ফিরছেন শূন্য হাতে। যদিও ডিলাররা বলছেন, ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা।

উপজেলা খাদ্য অফিস সূত্রে জানা যায়, খাদ্য অধিদপ্তরের আওতায় ঈশ্বরদী শহরের চারটি পয়েন্টে (ওএমএস) স্বল্পমূল্যে চাল ও আটা বিক্রি হচ্ছে। প্রতিটি ডিলারকে সাপ্তাহিক ছুটির দিন বাদে প্রতিদিন ১ হাজার ৫০০ কেজি চাল ও ১ হাজার কেজি আটা বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। ডিলারদের কাছ থেকে প্রত্যেক ব্যক্তি ৫ কেজি চাল ও ৫ কেজি আটা কিনতে পারবেন। চাল প্রতি কেজি ৩০ টাকা ও আটা ১৮ টাকা কেজি দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা যায়, বাজারে মোটা চাল ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে যে কারণে ৩০ টাকা কেজির চাল ও ১৮ টাকা কেজিতে আটা কিনতে তারা ওএমএস এর দিকে ছুটছেন। ডিলাররা সকাল ৯টা থেকে বিক্রি শুরু করলেও সকাল ৭ টায় এসে লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন অনেকে।

ওএমএসের চাল-আটা কিনতে আসা উমিরপুরের গোলাপি বেগম বলেন, দুই দিন লাইনে দাড়িয়েও শেষ হয়ে যাওয়ায় খালি হাতে ফিরতে হয়েছে। তাই আজ সকাল ৭ টায় এসে লাইনে দাড়িয়েছেন।

পোষ্ট অফিস এলাকার ডিলার সাইদুর রহমান শরীফ বলেন, প্রতিদিন ১ হাজার ৫০০ কেজি চাল ও ১০০০ কেজি আটা বরাদ্দ পাচ্ছেন তিনি। কিন্তু বরাদ্দের চেয়ে ক্রেতাদের চাহিদা অনেক বেশী।

(এসকেকে/এএস/আগস্ট ২৬, ২০২১)