ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : ঈশ্বরদীতে পদ্মার পানি উপচে সৃষ্ট বণ্যায় ও অতিবৃষ্টিতে সাড়ে ২৪ কোটি টাকার ফসলের ক্ষতি হয়েছে। এদিকে পদ্মা নদীর পানি কমলেও পানিবন্দি মানুষের দূর্ভোগ কমেনি। আবহাওয়া অফিস জানায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে অতিবৃষ্টিতে প্রায় টানা আড়াই ঘন্টায় ১২২ মি:মি: বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর আগে বুধবার রাতেও প্রায় সমপরিমাণ বৃষ্টি হয়। বছরের রেকর্ড পরিমাণ অতিবৃষ্টিতে ফসল ও সবজির জমি ডুবে গেছে।  

এদিকে গত ২২ আগষ্ট থেকে কমতে থাকায় বন্যা কবলিত এলাকা থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। লোকালয় থেকে পানি নামতে থাকলেও পানিবন্দী মানুষের দূর্ভোগ কমেনি। চর বিলবামনি মৌজার মোল্লা পাড়ায় শতাধিক পরিবার বন্যায় পানিবন্দী হয়ে পড়লে গবাদি পশুসহ নৌকায় নদী পার হয়ে এপারে চলে আসে। পানি এখনও না নামায় তারা বাড়ি ফিরতে পারেনি। গবাদি পশু নিয়ে তারা পড়েছেন বিপাকে। গো-খাদ্যের অভাবে তাদের ভোগান্তি বাড়ায় গরু-মহিষ নিয়ে পরিত্যাক্ত উঁচু সড়কের ধারে গবাদি পশু চড়িয়ে কোন রকমে দিন পার করছেন বন্যাকবলিত এসব চনবাসী মানুষ।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক দিনের বন্যায় ও অতিবৃষ্টিতে ঈশ্বরদীর নিচু এলাকা পানিতে ডুবে যায়। পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার লক্ষিকুন্ডা, সাঁড়া ও পাকশী ইউনিয়নের আংশিক এলাকায় ফসলের জমিতে পানি প্রবেশ করে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। পদ্মা নদীর বাম তীরের বাঁধের নিচু এলাকা দিয়ে বাঁধ উপচে পানি লোকালয় ও ফসলি জমিতে প্রবেশ করে। লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের কামালপুর, বিলকাদা, চরকুড়লিয়া গ্রামের মূলা,কলা,মাসকালাই, মিষ্টি কুমড়া , করলা ক্ষেতে পানি প্রবেশ করে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুল লতিফ জানান, এবারের বন্যায় ঈশ^রদী উপজেলার পাকশী, লক্ষিকুন্ডা ও সাঁড়া ইউনিয়নে ৯২৬ হেক্টর জমির মরিচ, শাকসবজি ও মাসকালাইয়ের সবচেয়ে বেশী ক্ষতি হয়েছে। যার মূল্য সরকারী হিসাব মতে ২৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

(এসকেকে/এসপি/আগস্ট ২৮, ২০২১)