ট্যানারি স্থানান্তরে সরকার পক্ষের অগ্রগতি চূড়ান্ত: আমু
স্টাফ রিপোর্টার : ট্যানারি স্থানান্তরে সরকার পক্ষের অগ্রগতি চূড়ান্ত বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।
বুধবার শিল্প মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যেসব ট্যানারি মালিক সাভারের ট্যানারি পল্লীতে কারখানা স্থানান্তরে ব্যর্থ হবে তাদের প্লট বাতিল করা হবে।
আমু বলেন, ট্যানারি স্থানান্তরে আমাদের সরকার পক্ষের অগ্রগতি চূড়ান্ত। এখনও পর্যন্ত শিল্প কারখানা স্থানান্তরে যে অগ্রগতি হয়েছে তাতে আমরা সন্তুষ্ট। তবে মালিকদের মধ্যে কিছু ব্যত্যয় হয়েছ। আগামী মার্চে ইটিপি নির্মাণ কাজ শেষ হলে উৎপাদনে যেতে সেখানে কারখানা থাকা প্রয়োজন। চলতি মাসে কারখানা স্থানান্তরে অবকাঠামো নির্মাণের সময়সীমা শেষ হচ্ছে।
তিনি বলেন, সেখানে আগামী মার্চের মধ্যে কারখানাগুলোর উৎপাদন শুরুর উদ্যোগ প্রয়োজন তা মালিকরা এখনও নেননি। যারা এ কাজে ব্যর্থ হবেন তাদের প্লট নতুন উদ্যোক্তা, দেশি বিদেশি যৌথ মালিকদের দেওয়া হবে। আমাদের হাতে অনেক বিকল্প উপায় আছে। আমরা চাই যাদের নিয়ে এ কাজ শুরু করেছি তারাই এটা শেষ করুক। তবে আমাদের সীমাবদ্ধতা আছে সেখানে মালিকরা গুরুত্ব না দিলে আমাদের বিকল্প পথে যেতেই হবে।
বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট শাহিন আলম বলেন, সরকার আমাদের মার্চের মধ্যে কারখানা স্থানান্তরের সময়সীমা নির্ধারণ করেদিয়েছে। এরই মধ্যে ১০৪টা প্লটে অবকাঠামো নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। বাকি ৪১টি প্লট মালিক এখনও কাজ শুরু করেনি। এর মধ্যে ২০টি প্লটে কারখানা স্থাপনের ২০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। যারা কাজ শুরু করেননি আমরা তাদের বুঝাবো। তারা না পাররে তাদের বিষয়ে সরকার সিদ্ধান্ত নিবে। তবে আমরা আশা করছি আগামী জুন মাসে উৎপাদনে যেতে পারবো।
তিনি আরো বলেন, এরই মধ্যে ইউরোপ ও আমেরিকার সব বিখ্যাত ব্রান্ড আমাদের কাছ থেকে চামড়া ক্রয় বন্ধ করে দিয়েছে। তাদের অভিযোগ আমরা পরিবেশ দূষণ করছি। তারা আমাদের ২০১৬ সাল পর্যন্ত সময় দিয়েছে। আমরা আমাদের স্বার্থেই সরকার নির্ধারিত সময়ে সাভারে কারখানা স্থানান্তর করবো।
(ওএস/এটিআর/সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৪)