রহিম আব্দুর রহিম


দেশের সকল ধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ। করোনা ইস্যুতে ২৩দফায় ছুটি বাড়ানো হয়েছে। ইউনিসেফের প্রতিবেদন অনুযায়ী স্কুল বন্ধের ক্ষেত্রে যা বিশ্বে দ্বিতীয়। দীর্ঘদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় প্রাক প্রাথমিক থেকে উচ্চতর শিক্ষা স্তর পর্যন্ত ৪ কোটির বেশি শিক্ষার্থী বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্থ। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে বিচার বিশ্লেষণ করেছেন। তিনি গত ২৫ আগস্ট অনুষ্ঠিত সচিবদের এক ভার্চুয়াল সভায় বলেছেন, “শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেওয়া দরকার এবং সেটা খুব দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।এটি শুধু বিশ্ববিদ্যালয় বলে না, আমাদের স্কুলগুলোও খুলতে হবে। এটা এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ,কারণ শিশুরা ঘরে থাকতে থাকতে তাদের যথেষ্ট কষ্ট হচ্ছে। সেইদিকে আমাদের নজর দেওয়া দরকার।”   

প্রধানমন্ত্রীর এই ধরণের বক্তব্যের পরপরই সর্বস্তরের ছাত্র- অভিভাবকরা মনে করেছিল সপ্তাহের মধ্যেই প্রতিষ্ঠা খুলে দিবে।তা হয় নি; আর একদফা ছুটি ভাড়ানো হয়েছে।শিক্ষামন্ত্রী বরাবরই বলে যাচ্ছেন, "আন্তর্জাতিক মানদন্ড অনুযায়ী সংক্রামনের হার পাঁচ শতাংশে নামলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা যাবে,বিশেষজ্ঞদের মতামত, টেকনিক্যাল কমিটির সাথে বৈঠক করে যতদ্রুত সম্ভব স্কুল কলেজ খোলা যায় সে ব্যাপারে মন্ত্রণালয় কাজ করছে।" বাংলাদেশের ক্ষেত্রে "আন্তর্জাতিক মানদন্ড" বিবেচনা করার সুযোগ তেমনি ফলপ্রসূ হবে না। কারণ এদেশের প্রকৃতি, আবহাওয়া,ঋতু বৈচিত্র ভিন্ন। আমাদের শিক্ষামন্ত্রী নিজ একজন চিকিৎসকও বটে। তিনি ভাল করেই জানেন প্রাকৃতিক বৈচিত্রের সাথে রোগ-ব্যাধির মাত্রাও ওঠা-নামা করে।

প্রতিবেশী দেশ ভারতের নয়াদিল্লীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ১ সেপ্টেম্বর চালু হয়েছে। আমাদের সরকার আর ছুটি না বাড়িয়ে এবার প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে বসানোর সকল প্রকার ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে দেশের ভুক্তভোগী মহল আশা করছেন।

লেখক :-শিক্ষক ও নাট্যকার।