মোঃ সিরাজ আল মাসুদ, টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইল জেলায় নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় পানিবন্দী হয়ে পড়েছে শত শত পরিবার। সপ্তাহ ধরে মানুষ পানিবন্দি থাকলেও সরকারি বা বেসরকারি ভাবে প্রয়োজনের তুলনায়  তেমনটা ত্রাণ সহায়তা পাচ্ছে না জানালেন বানভাসি মানুষ। ঘরে খাবার নেই, নেই বিশুদ্ধ পানিও। বসত ঘরে পানি উঠায় বিষাক্ত সাঁপের আতঙ্কে পরিবার- পরিজন ও গবাদিপশু- পাখি  নিয়ে অতি কষ্টে রাত পার করছেন তারা। বন্যার পানিতে  তলিয়ে গেছে টিউবওয়েল। ফলে বিশুদ্ধ খাবার পানি ও শুকনা খাবারের সংকট দেখা দিয়েছে ঘরে ঘরে । 

জেলার নাগরপুর,ভূঞাপুর যমুনা ও ধলেশ্বরী নদী তীরবর্তী বিভিন্ন ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত। নদীর পানি প্রবেশ করেছে লোকালয়ে। বাড়ির উঠোন ভর্তি পানি। ঘরেবাড়িতে শুধু পানি আর পানি। পানিতে তলিয়ে গেছে ধর্মীয় উপাসনালয় মসজিদ, মন্দিরসহ সকল প্রতিষ্ঠান। সরকারি বা বেসরকারিভাবে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, খাবার স্যালাইন বা ত্রাণ সামগ্রী পর্যাপ্ত পৌঁছেনি বলে জানালেন এলাকাবাসী। জেলার চরাঞ্চল নাগরপুরের

ভাড়রা, সলিমাবাদ,গয়হাটা ও ভূঞাপুরের গাবসারা, অজূর্না ইউনিয়ন ছাড়াও গোবিন্দাসী ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের হাজারো মানুষ আজ পানিবন্দি হয়ে চরম দূর্ভোগ পোহাচ্ছে।তলিয়ে গেছে নিম্নাঞ্চলের ফসলি জমি । ভাঙন দেখা দিয়েছে জেলার যমুনা ও ধলেশ্বরী নদীতে। বসতভিটা হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন শতাধিক পরিবার। তারা আশ্রয় নিয়েছেন রাস্তার ধারে। আশপাশের ছোট রাস্তাগুলোও তলিয়ে যাওয়ায় ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। আয়-উপার্জনও বন্ধ । ফলে অনেক কষ্টে দিন পার করতে হচ্ছে। তারা অভিযোগ করে বলছেন, কেউ এখন পর্যন্ত আমাদের কোন খোঁজ নেয়নি।

নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও প প কর্মকর্তা ডাঃ রোকনুজ্জামান খান বলেন, বন্যাকালীন সময় ও বন্যা পরবর্তীকালীন বিশুদ্ধ পানির অভাবে ডায়রিয়া, কলেরা ও চর্মরোগ সহ বিভিন্ন রোগ দেখা দিতে পারে। উপজেলার বিভিন্ন কমিনিউটি ক্লিনিকে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও স্যালাইন পর্যাপ্ত পরিমাণে বিতরণ করা হয়েছে ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিপুল পরিমাণ মজুদ রয়েছে। কমিনিউটি ক্লিনিকে এসে তারা তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী গ্রহণ করতে পারবেন।

ত্রাণ বিতরণ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. ইশরাত জাহান বলেন, বন্যা কবলিত এলাকার জন্য এখন পর্যন্ত কোন সরকারি বরাদ্দ পাইনি। পেলে ত্রাণ সহযোগিতা করা হবে।

(এমএসে/এসপি/সেপ্টেম্বর ০২, ২০২১)