রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : গত ২৪ ঘন্টায় কুড়িগ্রাম জেলায় বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে। ধরলা ও ব্রহ্মপুত্রের নদের পানি আরো বৃদ্ধি পেয়ে তিনশ চর-দ্বীপচরে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে প্রায় ১ লাখ মানুষ। শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে বিপদসীমার ৫৯ সেঃ মিঃ ও ব্রক্ষপুত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে ৬৪ সেঃ মিঃ উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। দুধকুমোর, তিস্তা, গঙ্গাধর সহ প্রতিটি নদীর পানি বিপদ সীমার সামান্য নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। চরম দুর্ভোগে পড়েছে পানি বন্দী মানুষরা। টানা এক সময়ের বেশী সময় থেকে পানি বন্দী থাকতে থাকতে তাদের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। ধরলা আর ব্রক্ষপুত্র অববাহিকার বিভিন্ন গ্রামের মানুষ ঘর-বাড়ী ছেড়ে বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে ও উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। মানুষের পাশাপাশি গবাদী পশু গুলিও চরম খাদ্য কষ্টে পড়েছে।  ভেঙ্গে পড়েছে চরাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা। মানুষজন ভেলায় আর নৌকায় চলাচল করছে। অনেকে তাদেও গবাদীপশু গুলো নিয়ে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে। পড়েছে চরম খাদ্য কষ্টে। এ সব বন্যা কবলিত অধিকাংশ মানুষ কোন ত্রান পায়নি।

বন্যার্তদের জন্য ২৮০ মেট্রিক টন চাল ও সাড়ে ১২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যা বিতরণ করা হচ্ছে বলে জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় ধরলা নদীর পানি ২৭.০৯ সে.মি, ব্রক্ষপুত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে ২৪.১৪ সে.মি, তিস্তা নদীর পানি ২৮.৮৮ সেন্টিমিটার, আর ব্রক্ষপুত্র নুুনখাওয়া পয়েন্টে ২৬.৪১ সে.মি দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

(পিএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ০৪, ২০২১)