রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরার আশাশুনি  উপজেলণার গোদাড়া গ্রামের আমানউল্লাহ এর বাড়িতে চুরির ঘটনায় সিলিং ফ্যান উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার উপজেহলার গোদাড়া গ্রামের দলিল সরদারের ছেলে হান্নান  সরদারের বাড়ি থেকে এ ফ্যান উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় হান্নান  শনিবার সাতক্ষীরার জ্যেষ্ট বিচারিক হাকিম রাজীব কুমার রায় এর আদালতে সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন।

আশাশুনি উপজেলার বাটরা গ্রামের রড ও সিমন্টে ব্যবসায়ি জিয়াউর রহমান জানান, ১৭ জুলাই দিবাগত রাতে গোদাড়া গ্রামের আসমা খাতুনের বাি তে চুরি সংগঠিত হয়। এ ঘটনায় পুলিশ মুজিবর রহমান, তার ছেলে শাহীনুর রহমান ও ফজলু সরদারকে গ্রেপ্তার করে। ফজলু আদালতে ১৬৪ ধার ায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।

শুক্রবার সকালে গোদাড়া গ্রামের দলিল সরদারর ছেলে আব্দুল হান্নান বাটরা বাজারে আসে। এ সময় তার পাশে বসে থাকা আমানউল্লাহ বাড়িতে চুরির ব্যাপারে কিছু জানে কিনা হান্নান সরদারের কাছে জানতে চায়। হান্নান তখন জানায় যে শাহীন তার কাছে একটি সিলিং ফ্যান বিক্রি করেছে বলে তাকে জানায়। এর কিছুক্ষণ পরে হান্নান বলে যে, মুজিবর যেদিন গ্রেপ্তার হয় সেদিন সকালে তার ছেলে শাহীন একটি সিলিং ফ্যান তার বাড়িতে লেখে যায়। তবে সিলিং ফ্যানের তিনটি ব্লেড খোলা অবস্থায় তার ঘরের মধ্যে লুকানো ছিল কেন তার উত্তর দিতে পারেনি হান্নান।

একপর্যায়ে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা উপপরিদর্শক নুরুন্নবী দুপুরে হান্নানের বাড়ি থেকে আসমার বাড়ির চুরি যাওয়া ফ্যান উদ্ধার করে হান্নানকে নিয়ে থানায় চলে যান। শনিবার তিনি জানতে পারেন হান্নানকে আসামী হিসেবে নয়, তাকে সাক্ষী হিসেবে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেওয়ানো হয়েছে। যার কাছ থেকে চুরি যাওয়া ফ্যান উদ্ধার হলো তিনি সাক্ষী হবেন না আসামী হবেন এটা তার জানা নেই।

এ ব্যাপারে আশাশুনি থানার উপপরিদর্শক নুরুন্নবীর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাকে মুঠোফোনে পাওআ যায়নি।

সাতক্ষীরা আদালতের সহকারি উপপরিদর্শক উজ্জ্ল হোসেন জানান, হান্নান সাক্ষী হিসেবে চুরির মামলায় ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।

(আরকে/এসপি/সেপ্টেম্বর ০৪, ২০২১)