নোয়াখালী প্রতিনধি : বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা বলেছেন,  চরের নথি সব বিক্রি হয়ে গেছে। আগের এসিল্যান্ড ডাকাত ছিল, পাহাড়ের সন্ত্রাসী ছিল। আর এ এসিল্যান্ডও সশস্ত্র সন্ত্রাসে ছিল ছাত্র জীবনে। এরে ইউএনও তোর শিক্ষা অফিসার এখানে কত টাকা খাইছে। এটার খবর নাই। দাইবি যে। দুয়ার টোয়াই পাইতি নয়। কুত্তা ইউএনও। আর শিক্ষা অফিসার তুই টেয়া খাই রংমালা মাদ্রাসায় নিয়োগ দিছত। আঙ্গে সভাপতি ইস্কান্দার হায়দার চৌধুরীকে বাদ দিছত। তুই উপজেলার বাহিরে বাহির হইচ্ছা। পিড়া খাইলে আমি জানিনা। তোর নালা নুলা ছুরি ফালাইবো বদমাইশ।

রবিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় বসুরহাট পৌরসভা হলরুমে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মেয়র বলেন, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি হইছে। আহ্বায়ক হইছে সেলিম। সেলিম সম্পর্কেতো আপনারা জানেন। একরামের সব অপকর্মের সাথে সে জড়িত। ওবায়দুল কাদের সাহেবকে ও সে গালিগালাজ করছে। ওবায়দুল কাদের সাহেব ডোন্ট মাইন্ড ফ্যামিলির ছেলে। ডোন্ট মাইন্ড ফ্যমিলির ছেলে বুঝেননি। উনার কোন হায়া শরম, লজ্জা শরম নাই। একরাম গালি দিলেও ঠিক, সেলিমাই গালি দিলেও ঠিক। যে গালি দেয় কয় ঠিক। এ হলো তার চরিত্র। সেলিমাই কয়দিন আগে গালি দিছে। বিরুদ্ধে কইছে নি। হাতেরে দিছে আহ্বায়ক। মন্ত্রী কমিটি করতেছে। পরামর্শ কার, তার দুর্নীতিবাজ স্ত্রীর।

কাদের মির্জা বলেন, একরাম যত অপকর্ম করে সব শিখাইছে মেয়র সোহেল। গত ১২ বছর টেন্ডারবাজির অর্ধেক নিয়ন্ত্রণ করে সোহেল্লা আর অর্ধেক নিয়ন্ত্রণ করে একরামইমা। বাদলের লগে একসাথে সোহেল মদ এবং নারীর সাথে জড়িত। হাতারে নেতা বানার। আমাদের মন্ত্রীর বউয়ের কাছের লোক। আবার হাতে করে কিছু নিতে হয়। তাদের ভেড়া দরকার তারপর দধি, মাছ হাতে করি নিতে হয়। টাকা আর গোল্ডের সাথে হাতে করে এ গুলো নিতে হয়। যারা এগুলো নেয় তারা নেতা। যারা নেয় তারা নমিনেশন পাবে। চেয়ারম্যান সাহেবেরা হুশিয়ার। এ গুলো রেডি রাখিয়েন। এ গুলো সোহেল পাঠায়, হেতি সোহেলের পক্ষে। আর অপশক্তির লগে আছে। আর এখন একরামের সাথেও সোহেল্লার প্রেম আছে। হেতারে নেতা বানার । আমরা মানুমনি। আমরা না মানলে কি হবে। শেখ হাসিনা অনুমোদন করবে। ওবায়দুল কাদের বলে দিলে। আর মিথ্যুক ওবায়দুল কাদের বলে আমি জানিনা।

তিনি আরও বলেন, এরে এসপি উড়া পাগল কোথা থেকে আইছোস। তোর বড় ভাই আগের এসপি কত কারিশমা এখানে করছে। শেষে আমার লগে প্রেম করিয়া থাকতে পারে নাই। সেতো টিকিট কেটে গেছে। তুই ব্যাটা টিকিট কাটার সময় ও পাবি না। কালকে রাতে এই থানাতে তুই কি মন্ত্র দিছস সব আমি জানি। মামলা আমার বিরুদ্ধেও আছে। গ্রেফতারের চেষ্টা করছে গত চারদিন আগে। আপনারা গাবের লাঠি তৈরী করেন। সামনে ভোট আছে, লাগবে। ইয়ার পরে আর গাইনও কিছু রেডি করছি। খেলা চলবে।

(এস/এসপি/সেপ্টেম্বর ০৫, ২০২১)